আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিমুখী সংঘর্ষে ভোলা শেখ (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) আব্দুল লতিফ।
২৯ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর নলসন্ধ্যা গ্রামের বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ভোলা শেখ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের হারুনর রশীদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, পিংনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী নুরুল ইসলামে (ফুটবল প্রতীক) ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুজাত আলী সুরু’র (মোরগ প্রতীক) লোকজনের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ১১টার দিকে পশ্চিম নলসন্ধ্যা চরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সুজাত আলীর লোকজন চোখে শুকনো মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে কাবু করে কোঁপানো শুরু করে। ঘটনা স্থলেই নুরুল ইসলামের ভাই ভোলা শেখ নিহত হন। এসময় গুরুতর ভাবে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই, রুবেল, হালিম, শুক্কুর আলী, টুটুলসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
ইউপি সদস্য প্রার্থী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুজাত আলী সুরু’র লোকজন তাদের ওপর হামলা চালান। এতে ভোলা শেখ ঘটনাস্থলেই মাথায় কোঁপ লেগে মারা যান ও আরো ১০ জন সমর্থক আহত হন।
নিহতের স্ত্রী লাইলি বেগম জানান, সকালে নুরুল ইসলামের সমর্থকরা ভোট চাইতে বের হন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন রুবেল ও হালিমকে ধরে নিয়ে যান। তাদের উদ্ধারের জন্য গেলে চোখে শুকনো মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে দিয়ে এক পর্যায়ে ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার স্বামীকে খুন করা হয়।
তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।