ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রশাসন বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) দিনভর মাস্ক বিতরণ সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয় ।
উপজেলার বেশিভাগ মানুষ বিধিনিষেধ মানছেন না। করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। কিন্তু এরপরও রাণীশংকৈলে মানুষের মধ্যে মাস্ক পড়তে উদাসীনতা দেখা গেছে।
হাটবাজারগুলোতে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যবহার করছেন না।
ঠাকুরগাঁও জেলা দিনদিন সংক্রমণ বেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাণীশংকৈল উপজেলার অধিকাংশ মানুষের মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। প্রশাসনের লোকজন দেখলে কেউ কেউ আড়ালে যাচ্ছেন আবার কেউ পকেটে থাকা মাস্ক পড়তে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা, থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল, আব্দুল লতিফ সেখ (তদন্ত) সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মাস্ক বিতরণ করেন ও যারা মাস্ক ব্যবহার একেবারে অনীহা প্রকাশ করেন তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২টি মামলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, ২০২০সালের ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই বছর জেলায় ৮হাজার ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১হাজার ৪৮১জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ১৫ , করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৯ জন।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তাৎক্ষণিক করোনার ফলাফল জানতে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। এত সুবিধা থাকার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের গণসচেতনতা মূলক প্রচারনা চলমান রয়েছে। যারা একেবারেই মানছেন না তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। এ অভিযান অভ্যাহত থাকবে।