সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুরকে আধুনিক সমৃদ্ধিশালী ইউনিয়নে পরিনত করতে আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়ছল হোসেন সুমনকে বিজয়ী করার আহব্বানে মিছিল পথসভার পাশাপাশি তার কর্মী সমর্থকদের অব্যাহত রয়েছে সমাবেশ।
বুধবার সন্ধায় তাজপুর ইউনিয়নের কাশিকাপন এলাকার সমাবেশকে ঘিরে খন্ড খন্ড মিছিলে মিছিলে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নৌকা মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে সভাস্থলপূর্ন হয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশে সারি সারি মানুষ দাঁড়িয়ে তাজপুর ইউনিয়নে নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করতে দেখা যায় ইউনিয়নের ৯টি ওর্য়াড থেকে জনতাকে।
তাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বাসীর উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন,ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কাপ্তান আলম,বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান,সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনহার মিয়া,যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা ফারুক আহমদ,প্রবাসী কমিউনিটি নেতা কাচা উদ্দিন,চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফয়ছল হোসেনের চাচা সাদেক আলী সেফু,মাওলানা মঞ্জুর রশীদ আমিনী,যুবলীগ নেতা ইসতিয়াক আহমদ মামুন,ছাত্রলীগ নেতা নবীদ আলী সেলিম প্রমুখ। ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আহমদের পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন,এলাকার আতœসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন বঞ্চিত তাজপুর ইউনিয়নের বেহাল দশার দূরীকরনসহ প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌছে দিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ফয়সল হোসেন সুমন।
আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তাজপুর ইউনিয়নের সামগ্রীক উন্নয়নের পাশাপাশি আমানতের খেয়ানত এড়াতে ফয়সল হোসেন সুমনকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহব্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সল হোসেন সুমন বলেন,নিজেদের ভাগ্যবদলের জন্য নয়,অবেহেলিত তাজপুরের সকল শ্রেনী-পেশার বাসিন্দাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। ভুল ত্রæটি ক্ষমা করে দিয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা নৌকা প্রতীকে দিন।দলমত নির্বিশেষে অসহায় দুঃস্থ মানুষের কল্যাণসহ সকল শ্রেনী পেশার বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকার বাস্থবায়নে কাজ করে অঙ্গিকার করেন ফয়সল হোসেন সুমন।
সভা শেষে তাজপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়সহ দেশ ও জাতির জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মঞ্জুর রশীদ আমিনী।