স্থগিত নিয়োগ পরীক্ষা পুণরায় অনুষ্ঠানের প্রবেশপত্র নিয়ম অনুসারে পাননি দুই প্রার্থী। এরা হলেন,শরিফুল ইসলাম ও পারভেজ মোশারফ। ২৭ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।
প্রবেশপত্র বিধি সম্মত ভাবে না পাওয়া প্রার্থী শরিফুল ইসলাম ও পারভেজ মোশারফ উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেছেন,ওই স্কুলে অফিস সহায়ক পদে তারা দুইজনসহ মোট ৬ জন প্রার্থী আবেদন করে।
গত ১৩ জানুয়ারি ওই স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে অপর নিয়োগ প্রার্থী হাসান আলীর মামা প্রভাবশালী ছাইদুর রহমান আকষ্মিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। এসময় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়।
অভিযোগকারীরা জানান,তারা বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পেরেছেন, হাসান আলীর মামার সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের পর উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম মামুনের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে হাসানকে স্কুলে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের গোপন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক ২৭ জানুয়ারি স্থগিত রাখা নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের তারিখ নির্ধারন করেন। কিন্তু অভিযোগকারীদেরকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। তারা এ অবস্থায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগকারীদের উত্থাপিত ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,তিনি যথানিয়মে প্রবেশপত্র দিয়েছেন। প্রার্থীরা প্রবেশপত্র পেয়েও না পাবার কথা বলছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম শামসুল হক জানান, তিনি কথিত দুই প্রার্থীর অভিযোগপত্র পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দ্রæত অভিযোগকারী প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।