মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

দাঁড়িয়ে উচু ব্রীজ সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ চরমে।

লিখন আহমেদ / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নে এরান্দহ পাড়া রশিদ মাষ্টারের বাড়ি হতে পশ্চিমদিকে তিনান্দিনা যাওয়ার নতুন রাস্তা এরান্দহ-বোয়ালিয়া বিলের মধ্যে মানুষের চলাচলের আঞ্চলিক সড়কের উপর নির্মান করা হয়েছে ব্রীজ। কিন্তু দু’পাশে নামমাত্র মাটি দিলেও বন্যার পানিতে ভেঙে যায়। এতে চলাচলে দুর্ভোগ চরমে।

এ কারণে ব্রিজটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই।ব্রিজ হলেও ব্রিজের দু’পাশে মাটি না থাকায় ভোগান্তির শিকার এলাকা বাসী। প্রায় ১০-১১ বছর আগে নির্মান করেছে ব্রিজটি। কিন্তু নির্মান করলেও যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই। নামমাত্র ব্রিজ কিন্তু উপকারে আসে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজটির দু’পাশে প্রায় ৬ ফুট উচু সংযোগ সড়কের দুই পাশে মাটি নেই। এ জন্য ব্রীজটি ব্যাবহৃত হচ্ছে না। ব্রীজের নিচ দিয়ে পা রাস্তায় চলাচল করছে পথচারীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ্য দিন ধরে এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছি এলাকার জনসাধারন।এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন আমরা ইউনিয়নের সুযোগ সুবিধা ও সকল সেবা থেকে থেকে বঞ্চিত ।

আমাদের ইউনিয়নে কোন জরুরী কাজ থাকলে তা আমরা দ্রæত সেখানে যেতে পারি না রাস্তার অভাবে। আমাদের এখানে ব্রিজ দিয়েছে কিন্তু চলাচল করার জন্য কোন রাস্তা নেই নামমাত্র ব্রিজ দিয়ে রেখেছে আমাদের কোন উপকারে আসেনা।

তিন নান্দিনার রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে এখানে ব্রিজ। করেছে কিন্তু ব্রীজের দুপাশে রাস্তা না থাকায় ব্রীজটি কোন উপকারে আসছে না। এমনিতেই দু’পাশে মাটি নেই, তার ওপর বন্যার পানির স্্েরাতে দু’পাশে ব্যাপক গর্ত হওয়ায় ব্রিজটি চলাচলে অকেজো হয়ে পড়েছে। তাই এমন জায়গায় ব্রিজ হওয়া যৌক্তিকতাই তারা ভেবে পায় না।

এসময় তিনি আরো বলেন, তিননান্দিনা ও রামপুরা গ্রামটি নদীবেষ্টিত গ্রাম। এলাকায় জনগনের আবাদি শস্য, ভারি মালামাল হাট-বাজারে নিতে নদী পারাপার হয়ে যেতে একদিকে সময় অপচয় অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। আমাদের যদি কোন জরুরী রোগী জেলা সদর ও ক্লিনিকে নিতে হয় তাহলে আমাদের খেয়া নৌকার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাই নতুন রাস্তা করে খালের মধ্যে ব্রিজটি নির্মান হলেও দু’পাশে মাটি না থাকায় চরম কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। এক কথায় আমাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।

এবিষয়ে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ২০১১ সালে ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছিলো দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য। ব্রীজটি নির্মান হলেও ব্রীজের দুপাশে রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। রাস্তা না হওয়ায় ব্রীজটি অকেজো হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। আমার ইচ্ছা আছে ব্রীজের দুপাশে রাস্তা নির্মান করা যদি উপজেলা থেকে বাজেট পাই তাহলে ব্রীজের দুপাশে রাস্তা নির্মান করবো ।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর