করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার থেকে সারা দেশে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। কিন্তু এরপরও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখা গেছে। হাটবাজারগুলোতে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যবহার করছেন না।
উপজেলার ধর্মগড় এলাকা থেকে নেকমরদ রবিবার হাটে এসেছেন ফাতেমা , হালিমা, সুলতানা ও মনিকা । তাঁদের কারও মুখে মাস্ক নেই। তাঁরা বলেন, আমরা কাজ করতে সময় পাই না। মাস্ক পরলে দম বন্ধ হয়। হাটে আসছি এখুনি চলে যাব।
এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা দিনদিন সংক্রমণ বেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে রাণীশংকৈল উপজেলার অধিকাংশ মানুষের মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। রাণীশংকৈলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে কেউ মারা যাননি।
স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই বছর জেলায় ৮ হাজার ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ১৫ , করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৯ জন।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও থেমে নেই কোচিং সেন্টার ও মাদ্রাসার পড়ালেখা। প্রতিদিন সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটছে কোচিং সেন্টার ও মাদ্রাসায়। এসব শিক্ষার্থীদের মুখে থাকছে না মাস্ক এবং মানছে না শারীরিক দূরত্ব।
প্রশাসনের লোকজন দেখলে কেউ কেউ আড়ালে যাচ্ছেন আবার কেউ পকেটে থাকা মাস্ক পরছেন।
রাণীশংকৈলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তাৎক্ষণিক করোনার ফলাফল জানতে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। এত সুবিধা থাকার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল সুলকান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবে।