জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জাতীয় সংসদ ভবনে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সোমবার বিল নিয়ে আলোচনা শেষে সংসদে দেয়ার জন্য চুড়ান্ত প্রতিবেদন করা হয়েছে। বুধবার সংসদ অধিবেশনে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন,বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে কমিটি। যোগ্যতা ও অযোগত্যার জায়গায় কিছু পরিবর্তন এনেছি। সেভাবেই সংসদে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
জল্পনাকল্পনা শেষে আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ রোববার মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে আগামী ৭ কার্য্য দিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগ বিল-২০২২ আইনের খসড়ায় যে দুটি যেপরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি সেটি হলো সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে,কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়,আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এই ধারায় সরকারি,বিচার বিভাগীয়,আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।
সূত্রঃ দৈনিক শিক্ষা