লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্যের ভোটের ফল পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
পানিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভূক্তভোগী অভিভাবক সদস্য মোজাম্মেল হোসেন রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন। একই সময় এই ঘটনায় তিনি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোজাম্মেল উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের কোমরতলা গ্রামের বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল বলেন, ২০ জানুয়ারি অভিভাবক সদস্যদের নির্বাচনের ৯ জন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমি চতুর্থ হই। কিন্তু আমাকে কোন কিছু অবহিত না করে ইউএনও তাপ্তি চাকমা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনোয়ার শনিবার (২২ জানুয়ারি) পুনরায় ভোট গণনা করেন। এতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পরাজিত প্রার্থী হুমায়ুন কবিরকে জয়ী ঘোষণা করে আমাকে বাদ দেওয়া হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল মাল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নাটকীয় ভোট গণনায় আমাকে সরিয়ে দিয়েছে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার প্রাপ্ত পদ ফেরত চাই। তিনি আরও বলেন, পুনরায় ভোট গণনার দিন আমিসহ নির্বাচিত ইব্রাহিম খলিল, রফিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন কেউই উপস্থিত ছিলেন না। পুনরায় ভোট গণনা কেন হয়েছে তাও তারা কেউ জানেন না।
২৩ জানুয়ারি রোববার ইউএনওর কার্যালয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই সভাপতি পদে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ভোটের পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল ও পরাজিত হুমায়ুনদের ভয়ে আমরা বাড়িছাড়া। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ২০ জানুয়ারি রাতে নির্বাচিতদের আত্মীয়-স্বজনকে হুমকি দিয়ে আসে তারা।শনিবার রাতেও তাদের লোকজন পানিয়ালা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সমবায় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, আবেদনের ভিত্তিতে ইউএনওর উপস্থিতি ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোন সদস্যকে কেউ হুমকি দেওয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়নি। কাউকে যদি হুমকি দেওয়া হয়,থানা পুলিশকে জানালে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, নির্বাচনের দিন ভোট গণনা ভুল হয়েছে বলে হুমায়ুন অভিযোগ করেছে। এই প্রেক্ষিতে শনিবার পুনরায় ভোট গণনা করলে তিনি জয়ী হন। পুনরায় ভোট গণনার বিষয়টি অন্যান্য প্রার্থীদেরকে ফোনে জানানো হয়েছিল।