ক্রিড়া ডেস্কঃ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের অনুকুলে নিয়ে নিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু করেছিলো ভারত। পরের ম্যাচগুলো ব্যার্থতার মূখ দেখেছে ভারত।
টানা দুই টেস্টে হেরে সিরিজ হারে সফরকারীরা। ফরম্যাট বদলালেও বদলায়নি ভারতের ভাগ্য। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭ উইকেটে। পার্লে ২৮৮ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ১১ বল বাকি থাকতে।
পার্লের বোল্যান্ড পার্কে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রিশভ পান্থের ৮৫ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ২৮৭ রানের পূজি পায় ভারত। এছাড়া অধিনায়ক কেএল রাহুল ৫৫ ও শার্দুল ঠাকুর অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন।
প্রথম ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া বিরাট কোহলি কেশব মহারাজের শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো স্পিনারের বলে আউট হয়ে ডাক পেলেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার তাবরিজ শামসি ৫৭ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপর দাপট দেখাতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকান দুই ওপেনার। ১৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন জানেমান পিটারসন ও কুইন্টন ডি কক। ৬৬ বলে ৭৮ রান করে ডি কক বিদায় নিলে ভাঙে ওপেনিং পার্টনারশিপ।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন টেম্বা বাভুমা ও মালান। মালানকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ১০৮ বলে ৯১ রান করেন মালান। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। মালান ফেরার পরের ওভারেই আউট হন বাভুমা। প্রোটিয়া অধিনায়ক যুযবেন্দ্র চাহালের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন। মাঠ ছাড়ার আগে বাভুমা করেন ৩৬ বলে ৩৫ রান।
শেষে প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এইডেন মার্করাম ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ১১ বল আগেই জয় পায় তারা। মারক্রাম ৪১ বলে ৩৭ রান ও র্যাসি ৩৮ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বুমরাহ, চাহাল ও শার্দুল ঠাকুর ভারতের পক্ষে ১টি করে শিকার করেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কুইন্টন ডি কক।
এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৩১ রানে জয়লাভ করেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সুত্রঃ সংবাদ