মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভূমিকা রেখেছে। গর্বিত জাতি হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান করে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। একাত্তরে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ পেয়েছিল লাল-সবুজের একটি পতাকা।
বাঙালি জাতি সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে রাঙামাটির লংগদু থানার ওসি আরিফুল আমিন। তিনি তাঁর অফিস কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত চেয়ার রেখেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা থানায় কোনো কাজে আসলে সংরক্ষিত চেয়ারে বসবেন। এবং সবার আগে মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রসংশা করছেন স্থানীয় বিভিন্ন মহল।
স্থানীয় শিক্ষক এ বি এস মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনার মূলস্তম্ভ। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। তাঁদের প্রতি সম্মান দেখানো নাগরিক হিসেবে সবার দায়িত্ব। ওসি সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকশিত হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশপ্রেমের শিক্ষা নিয়ে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ওসি সাহেবের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সরকারের সব দপ্তরে এমন উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এতে মুক্তিযোদ্ধারা যত দিন বাঁচবেন সম্মানিতবোধ করবেন। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অনেক সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
ব্যাতিক্রমী উদ্যোক্তা ওসি আরিফুল আমিন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে আমার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। বর্তমান প্রজন্ম তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো ছাড়া কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ আমাদের নাই। লংগদু থানার ওসি কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত চেয়ার শুধুই তাদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা। তবে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
অসহায় ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প অব্যাহত আছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা, উৎসব ভাতাসহ নানা রকম সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
Post Views: 439