রাজশাহীর তানোরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু রোপণ করে এবার তাদেরই চুক্তিবদ্ধ এক আলুচাষি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ কৃষক বিএডিসির বীজ কিনে প্রতারিত হবার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বানী বিএডিসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যাবত আলু বীজ উৎপাদন ও তাদের কাছেই সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু এবার তিনি নিজেই বিএডিসির (সানশাইন জাত) বি-গ্রেড আলু বীজ রোপণ করে প্রতারিত হয়েছেন। গত ১৮ জানুয়ারী সোমবার সরেজমিন, তানোরের পাঁচন্দর ইউপির যোগীশো মাঠে রাব্বানীর আলুর জমিতে দেখা গেছে, এবার তিনি ১২০ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন। এর মধ্যে ১০ বিঘা জমিতে বিএডিসির (সানশাইন) বি-গ্রেড আলু বীজ রোপণ করে ধরাশায়ী হয়েছেন।
এক বিঘা জমিতে এখন পর্যন্ত্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, বিএডিসি খাবার আলু রিপ্যাক করে বীজ আলু বলে বিক্রি করায় কৃষক রাব্বানী প্রতারিত হয়েছে, তবে চুক্তিবদ্ধ কৃষক বলে প্রতিবাদ করতে পারছে না। তারা আলুখেত সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিপুরণের দাবি করেছেন। এছাড়াও চাঁন্দুড়িয়া ও রিশিকুল ইউপির পলাশী মাঠে অনেক কৃষক এবার আলুচাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ কৃষক গোলাম রাব্বানী বলেন, এসব আলু পরে রোপণ করা তায় গাছ একটু কম দেখা যাচ্ছে, এখানে প্রতারণার কিছু নাই। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, তারা এখানো কোনো অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।