চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ২২ পরিবারের নগদ টাকাসহ অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি২২) সাড়ে ১২টার সময় উপজেলার শিলকূপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব-মনকিচর মোহাব্বত আলীপাড়া হরন্নিছা বাপের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ১১ বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২২ পরিবার। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
সংঘটিত এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হলো- মৃত কুইল্যা মিয়ার ছেলে ফজল কাদের, আব্দুল মালেক, আব্দুল মোনাফ, আব্দুল মোনাফের ছেলে মু. আলমগীর, জাহাঙ্গির আলম, মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল, লেদু মিয়া, লেদু মিয়ার পুত্র জাকের উল্লাহ্, শফি উল্লাহ্, মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আনু মিয়া, সুফি আলম, মাহাবুব আলম, আনু মিয়ার ছেলে ইছহাক, কামালের ছেলে মুহাম্মদ আক্কাস, মৃত আঞ্জু মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ হারুণ, মমতাজ বেগম, ইসলাম মিয়া।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ জাফরুল ইসলামের কাছ থেকে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী শাহ্ আলমের রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আমাদের ফায়ার টিম ও এলাকাবাসিদের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় ১১টি বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।
শীলকূপ ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের মোহাব্বত আলী পাড়ায় আজ আনুমানিক দুপুর ১২.৪০ ঘটিকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে ২৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপজেলা প্রশাসন বাঁশখালীর পক্ষ হতে পরিবার প্রতি ২৫০০/- টাকা হারে সর্বমোট ৫৭৫০০/- টাকা বিতরণ করা হয় এবং শীত বস্ত্র হিসেবে ৫০ পিচ কম্বল বিতরণ করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাইদুজ্জামান চৌধুরী নগদ আর্থিক সহযোগীতা ও শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মহসিন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ২১ হাজার টাকা প্রদান করেন।