প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের ১২ জেলাকে করোনা সংক্রমণের অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি২২) সকালে এই ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি২২) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ২২২ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশে গত নভেম্বরের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এটি ক্রমাগতভাবে বাড়তে শুরু করে। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এসে আগের বছরের চিত্রটা অনেকটাই পাল্টে গেছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণেই দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি কিন্তু বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ দিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নয়। ধরে নিতে হবে দেশে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ সেখানে ঘটেছে এবং সারা বিশ্বে যেমন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে সরিয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট জায়গা দখল করেছে, ধীরে ধীরে হয়তো বাংলাদেশেও এমনটি হবে।
এর আগে ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনা সংক্রমণের রেড জোন (লাল তালিকা) হিসেবে ঢাকা ও রাঙামাটি, ইয়োলো জোন (হলুদ তালিকা) হিসেবে ৬টি জেলা ও গ্রিন জোন (সবুজ তালিকা) হিসেবে ৫৪টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া খুবই কম সংখ্যক টেস্ট করার তালিকায় দুটি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২.৯০ শতাংশ আর রাঙামাটিতে ১০ শতাংশ। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর ও রংপুর জেলা। আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়।