ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা সভিপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা জসিম উদ্দীন মিসবাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুল হক,সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক নুর আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সদর মাওলানা মোজাম্মেলুল হক কাসেমী,উপজেলা বামুক সদর মুফতি নুরুল আমিন,ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সহসভাপতি এস এম ফয়জুল্লাহ,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আব্বাস উদ্দীন,ইসলামী যুব আন্দোলন বাঁশখালী উপজেলা সভাপতি মাওলানা হাশেম,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহিম,যুব নেতা মুনিরুল ইসলাম,কাজী আবেদুর রহমান,পৌরসভা আইএবি সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাঁশখালী উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক,সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সরওয়ার হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য, আল্লামা ফরিদ আহমদ আনসারী বলেন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিছক কোন সংগঠন গতানুগতিক রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই।আমরা রাজনীতিকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করেছি বলেই জয়- পরাজয়ে আমরা হতাশ হইনা।আজ না হয় কাল,কাল না হয় পরশু ইসলাম, দেশ মানবতার মুক্তি আসবে।সুতরাং আমাদের পরিশুদ্ধ নিয়তে ইবাদতের মানসে রাজনীতি করতে হবে।আমরা যদি সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত পথ অবলম্বন করতে পারি তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। প্রধান বক্তার বক্তব্যে,আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদার বলেন,রাজনীতির মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিকল্প শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।সে কারণে সেক্যুলার, নাস্তিক বামপন্থীদের যেমন ঘুম হারাম হয়েছে,ঠিক তেমনি চিহ্নিত মুনাফিক ও মু্খোশধারীদের গাত্রদাহ বেড়ে চলছে। একমাত্র দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে,কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ১০ মায়ের সন্তান কে এক মায়ের সন্তানের ন্যায় হয়ে কাজ করতে হবে।আমরা একমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশির জন্যে রাজনীতি করি।সুতরাং মনোমালিন্য, ভুল বুঝাবুঝি আমাদের স্পর্শ করবে না।
প্রধান মেহমানের বক্তব্যকালে হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন,বর্তমান বাংলাদেশে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।সুদক্ষ নেতৃত্ব,সময়োপযোগী কর্মসূচি,সৃজনশীল ও গণমুখী রাজনীতির চর্চা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় রাজনীতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।সময় অপচয় না করে,সংগঠনের কাজকে বেগমান করার বিকল্প নেই।বাঁশখালীকে একটি মডেল শাখা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রবাসীদের পক্ষ থেকো সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি। যৌথ মিটিং এ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করেন।নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে, সাংগঠনিক নেতা নয়,গণমুখী রাজনীতির মাধ্যমে জননেতা তৈরি করতে হবে।উল্লেখ্য, আগামী ইউপি নির্বাচনে বাঁশখালীর ১৪ ইউনিয়নে হাতপাখার প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নেতৃবৃন্দ। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্যে যৌথ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।