নাটোরের নলডাঙ্গায় রাতে ঘাস মারা কীটনাশক ছিটিয়ে দুই কৃষক সহোদর ভাই ৬ বিঘা গম ও সরিষা ও মুলার ক্ষেত নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।কয়েক দিন আগে রাতে উপজেলার সমসখলসি মাঠের রোপনকৃত ৪ বিঘা জমির সরিষা, ১ বিঘা জমির গম, ও ১ বিঘা জমির মুলার ক্ষেতে শুত্রুতা করে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।কয়েকদিন পর গম, ডেপা জাতের সরিষা ও মুলা ক্ষেতে হলুদ বর্ণ ধারন করে পচন ধরে নষ্ট হতে শুরু করলে দুই সহোদরের কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। এ ঘটনায় শুক্রবার নলডাঙ্গায় থানায় অভিযোগ করবে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগি দুই কৃষক।
ভুক্তভোগি দুই কৃষকের নাম ইমরান হোসেন (৪৬) ও লোকমান হোসেন (৪৮)।তারা রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পমপাড়া গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর ছেলে।তারা সম্পর্কে আপন দুই ভাই।
বৃস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সমসখলসি মাঠে নাসির ডাক্তার ও মোজাহার আলীর কাছ থেকে দুই সহোদর কৃষক ইমরান ও লোকমান ধার দেনা করে ৭০ হাজার টাকায় ৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গম,সরিষা ও মুলার আবাধ করেছিল।কিন্ত জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে কোন এক রাতে শুত্রুতা করে কে বা কাহারা ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।কয়েকদিন পর ৬ বিঘা জমির রোপনকৃত গম,সরিষা ও মুলা ক্ষেতে হলুদ বর্ণ ধারন করে পচন ধরে নষ্ট হতে শুরু করে।বিষয়টি বৃস্পতিবার তারা ফসল দেখতে এসে গম,সরিষা ও মুলা ক্ষেত নষ্ট হতে দেখে মাথায় হাত পড়ে। শুক্রবার এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই সহোদর কৃষক নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করবে জানিয়েছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইমরান ও লোকমান হোসেন বলেন,আমরা দুই ভাই ধার দেনা করে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সমস খলসি মাঠের ৪ বিঘা জমিতে সরিষা, ১ বিঘা জমিতে গম, ও ১ বিঘা জমিতে মুলার আবাদ করি।এসব উৎপাদনে আরো ৫০ হাজার টাকা খরচ করি।বৃস্পতিবার ফসলের ক্ষেতে দেখি কে বা কাহারা শুত্রুতা করে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।এতে রোপনকৃত গম,সরিষা ও মুলার ক্ষেত হলুদ বর্ণ ধারন করে পচে নষ্ট হয়েছে। রাতের আধাঁরে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা।আমাদের স্বপ্ন এই ভাবে শুত্রুরা ভেঙ্গে দেওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।আমরা এর তদন্ত করে বিচার দাবী করছি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।