ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আবু বক্কর সিদ্দিক নামের ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ২ নম্বর আসামি তাজামুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের ইউলাটলী গ্রাম থেকে তাজামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামি তাজামুলের বাড়ি ওই এলাকায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক। আহত ছাত্রলীগ নেতা পাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ পাড়িয়া গ্রামের হকের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের ইউলাটলী গ্রামের নুর ইসলাম, হাফিজ, সাইফুল, আনোয়ার, আবু জাহেদ নিপু, সফিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, সেলিম, আহসান, সাহাবুদ্দিন, রেজাউল, আলতাফুর, সোবহান।
ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের পাড়িয়া কেন্দ্রীয় মসিজদের সামনে রাতের বেলা একা পেয়ে নুর ইসলাম, তাজামুল হকসহ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়। অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শীতের কাপড় থাকার কারণে শরীরে অস্ত্রের আঘাত লাগেনি। তবে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ আহত ওই ছাত্রলীগ নেতা গতকাল পর্যন্ত বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) হাবিবুল হক প্রধান বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।