বরগুনার আমতলী উপজেলার লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবী ১৭ কিলোমিটার খাল কচুরিপনায় স্তুপ অপসারন করে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে আমতলীর দীর্ঘ এই খালটি শাখা সহ কচুরীপনায় স্তুুপ হয়ে থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে খালের দু’পাড়ের লক্ষাধিক পরিবার। কচুরীপনায় খালের পানি বিষাক্ত হয়ে গৃহপালিত হাঁস মুরগী পর্যন্ত মারা যাচ্ছে। দৈনন্দিন পারিবারিক কাজে এই পানি ব্যাবহার করা যাচ্ছেনা। মশা, সাপ সহ পোকামাকড় উৎপাদন হচ্ছে। স্হানীয় নাগরিকরা ২০০৮ সাল থেকে সুবন্ধী খাল থেকে কচুরীপনা অপসারনের জন্য দাবী জানিয়ে আসছিলো।
২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি একনেকের সভায় সুবন্ধী খাল এর কচুরীপনা অপসারন, সংস্কার এবং আমতলীর পায়রা নদীর বেড়ীবাঁধ ভাংঙ্গন বাবদ ৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
আগামী ২০২৪ সালের মধ্য এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। একনেকের সময় এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আমতলী শহরে “পিপলস ভয়েস অফ আমতলী (পিভিএ) এর উদ্দ্যোগে বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা আনন্দ র্যালি ও সমাবেশ করে। আ্যাডঃ শাহাবুদ্দিন পান্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, আ্যাডঃ আঃ কাদের, পৌর নাগরিক ফোরাম সভাপতি, আবুল হোসেন বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক, নূহুউল আলম নবীন, ডাঃ গাজী রফিক প্রমূূূখ।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া তিনি শেখ হাসিনার মত প্রজ্ঞাময়, মানবকল্যানে নিবেদিত ব্যাক্তিকে আমাদের সরকার প্রধান করেছেন। সুবন্ধী খালের কচুরীপনায় আমতলীর সামাজিক পরিবেশ বিপর্যস্ত করে ফেলেছে।আমরা প্রশাসনের নিকট অনেক ধর্ণা দিয়েছি।
আশা করছি শীঘ্রই আমাদের সমস্যার সমাধান হবে।
Post Views: 154