চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইন এর প্রচারনার সিএনজি উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭ টার সময় পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আলি মিয়ার দোকান নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উত্তর জলদী ৩ নং ওয়ার্ডের বদি আলমের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (২১) উত্তর জলদি ৫ নং ওয়ার্ডের শওকত আকবরের ছেলে মোহাম্মদ তানভীর (২২) ও ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত দুলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (২৭) গুরুতর হয়।
এ সময় প্রচারণার কাজে নিয়োজিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় আহতদেরকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ সরকারদলীয় নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টিসহ ভাংচুর চালায়। তারা আমাকে ও আমার লোকজনদের নানাভাবে হুমকী দিয়ে আসছে।
গত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে আমার বাড়ির পাশে গিয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি তারা একটি ফায়ার ছুঁড়েও জনমনে আতংকের সৃষ্টি করে। ভোটাররা আসন্ন ভোটেরদিন যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না পারে সে পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।
আমার জনপ্রিয়তা দেখে তারা নানাভাবে আমাকে ও আমার লোকজনদের ভীতি প্রদর্শন করছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার দিবাগত রাত আমার বাড়ির সামনে গিয়ে প্রতিপক্ষের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিছিল করে, ফায়ার ছুঁড়ে। পরে বিষয়টি আমি বাঁশখালী থানা পুলিশকে অবহিত করি। বাঁশখালী থানা পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছান।
অবাধ ও নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বহিরাগত সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর থাকলে আমি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা রাখতে পারি।