দীর্ঘদিন ধরে মোংলা বন্দরে পড়ে আছে আমদানি হওয়া ২ হাজার ৮’শ ৮৪ টি রিকন্ডিশন গাড়ি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় বিভিন্ন মডেলের এসব গাড়ির ১’শ ৩২ টি নিলামে উঠছে। ১৮ জানুয়ারি এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। মোংলা কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বাসার সিদ্দিকী বুধবার (১২ জানুয়ারী) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিলামে ওঠা ১’শ ৩২ টির মধ্যে হাইয়েস, নোহা, প্রাডো, নিশান প্রেট্রোল ও জাম
ট্রাকসহ ১৬ ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে। মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া এসব গাড়ি নির্দিষ্ট ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করাতে ব্যার্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই নিয়মানুযায়ী নিলামে উঠছে এসব গাড়ি। এর আগে গত বছর ২১ বার নিলামে ওঠে প্রায় দুই হাজার গাড়ি।
নিলামে অংশ নেওয়া সর্বচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর বিক্রির আদেশ দেওয়া হবে। যোগ করেন রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বাসার সিদ্দিকী।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ কুদরত আলী শেখ বলেন, মোংলা বন্দরে ২০০৯ সালের ৩ জুন ২’শ ৫৫ টি রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানি শুরু হয়। হক্স-বে অটোমোবাইল কোম্পানি প্রথম এই বন্দরে গাড়ি আমদানি করে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৬ হাজার ১’শ ৬৩ টি গাড়ি আমদানি হয়েছে এই বন্দরে। ১ লাখ ৪৩ হাজার ২’শ ৭৯ টি গাড়ি বিক্রি ও নিলামের মধ্যে দিয়ে ডেলিভারি হয়। বর্তমানে বন্দর জেটির বিভিন্ন শেডে দুই হাজার ৮’শ ৮৪ টি গাড়ি রক্ষিত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি আব্দুল হক বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর তাদের সদস্যর চার হাজার বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ ছিল। এতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। এই অবস্থায় বন্দরে পড়ে থাকা গাড়িগুলোর নিলাম করা হলে তা ব্যবসায়ীদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হবে। আমদানিকারকদের ছাড় দিয়ে ব্যবসায়ীদের পুজি রক্ষার্থে অবিলম্বে নিলাম বন্ধের দাবিও জানান তিনি।