রাজশাহীর তানোরে বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে ডিএনএ টেষ্টের নামে পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ধামাচাপার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির সাহাপুর গ্রামে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।এঘটনায় সাহাপুর গ্রামের একরামুল,শফিকুল ইসলাম ও দুরুল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশ করার নামে কালক্ষেপন করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার। অসহায় দরিদ্র ভিকটিম মানবেতর জীবন যাপন করছেন অন্যদিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় অভিযোগ করতে দিচ্ছে না অভিযুক্তরা।
এদিকে চেয়ারম্যান লুকিয়ে লুকিয়ে ডিএনএ টেষ্ট করছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক হৈচৈ পড়ে এবং চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেন এলাকার সচেতন মহল।
চেয়ারম্যান মতিনের অন্যতম সহচর একরামুল জানান মেয়ের চরিত্র ভালো না।আমি শুনেছি পাচ থেকে সাত জনের সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক হয়েছে।মেয়েটির পেটে বাচ্চা হওয়ার পর প্রকৃত দোসীকে শাস্তির আওতায় আনতে চেয়াম্যান ডিএনএ টেষ্ট করানোর চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে,উপজেলার পাঁচন্দর ইউপি এলাকার জৈনক ব্যাক্তির মেয়ের প্রায় দুমাস আগে গোদাগাড়ী উপজেলার মাখরান্দা এলাকায় বিয়ে হয়।এঅবস্হায় কয়েক দিন পর স্বামীর সন্দেহ হলে পরিক্ষা করে দেখেন প্রায় চারমাসের বাচ্চা পেটে। স্বামী কোনভাবেই মানতে না পেরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।বর্তমানে মেয়েটি পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,গত আলু মৌসুমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়ের সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিবাহিত সাহাপুর গ্রামের খতেরের পুত্র পলাশ।প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক বা মিলামেশা করেন।এখানেই শেষ না গত ঈদের পর পলাশের মাধ্যম দিয়ে সাহাপুর গ্রামের আজিজের পুত্র শামিমও সম্পর্ক গড়ে তুলে দুজন মিলে লাগাতর ধর্ষন করেন।যার কারনে ওই মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
সরেজমিনে ভিকটিমের সাথে কথা বলা হলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন আমার স্বামীও নিবেনা এবং বিচারের জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি জানান দুজনের নাম এসেছে। আমি এখন কার বিচার করব।বাচ্চা হওয়ার পর ডিএনএ টেষ্ট করে পিতা কে তখন বিচার করা হবে।
ভিকটিমের মা জানান,বিয়ের আগে আমার মেয়ে কিছুই বলেনি।বিয়ের পর এসব শুনছি।পলাশ আর শামিম আমার মেয়ের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। আবার চেয়ারম্যান বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত থামতে বলেছেন।এতদিন আমার মেয়ের বাচ্চা চিকিৎসা খেতে দিব কিভাবে। যা ছিল মেয়ের বিয়ে দিতেই শেষ।মেয়েকে একা বাড়িতে রাখতে পারছিনা কারন বারবার আত্মহত্যার কথা বলছে।
এসময় তিনি আরোও জানান থানায় জানালে আমার বাড়ি পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হুমকি দামকি দিচ্ছেন তারা।চরম আতঙ্কের মধ্যে বাস করছি।জানিনা কখন কি হয়ে যায়।আবার শামিমের স্ত্রী এসে আমার মেয়েকে কোরআন শরিফে হাত দিয়ে তার স্বামী জড়িত না,জোড় পূর্বক হুমকি দিয়ে স্বীকারোক্তি নিতে চাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শামিমের সাথে যোগাযোগ হলে জানান আমি এঘটনার সাথে জড়িত না।তবে পলাশের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি।তার বাড়িতে ভোজের আয়োজন চলচিল একজন বলেন পলাশ বাড়িতে আছে।কিন্ত পরে বাড়ির লোকজন বলেন পলাশ বাড়িতে নেই এ কথা বলে প্রতিবেদককে সরিয়ে দেন।
পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের ব্যক্তিগত মোবাইল ০১৭১৮-০৩১৯৮১ এই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুল হাসান জানান এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।