লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক মাহমুদের স্ত্রী নিশি মাহমুদকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৯ জন নামিক ও ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদলতে (রামগতি) মুশফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বাদীর আইনজীবী ফাহাদ ইসলাম জনি আমারজমিনকে জানান বিচারক মোসাম্মৎ নুসরাত জামান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আসামি তন্ময় কুমার দাসের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে অবস্থান চিহ্নিত পূর্বক নিশি মাহমুদকে উদ্ধারে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি তন্ময় পটুয়াখালি সদর উপজেলার লাউকাটি গ্রামের নব কুমার দাসের ছেলে। অন্য আসামির হলেন রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রামের প্রদন্ন মজুমদার,নিরাশা মজুমদার, পটুয়াখালির লাউকাটি গ্রামের কমল দাস,নবকুমার দাস,অয়ন দাস,প্রান্ত কুমার দাস,ধনঞ্জয় কুমার দাস।
বাদী মুশফিক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও রামগতির চরসীতা গ্রামের এজেডএম মুনছুর আলীর ছেলে।
মামলা সূত্র জানা যায়,ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক নিজ গ্রামের আমিরোদ্ধ মজুমদারের মেয়ে প্রজরি মজুমদার নিশির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর তারা বিয়ে করেন। এ প্রেক্ষিতে নিশি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে ও এফিডেভিটের মাধ্যমে তার নাম পরিবর্তন করে নিশি মাহমুদ রাখা হয়। ১১ নভেম্বর নিশির বাবা আমিরোদ্ধ মারা যান।
বাবার শেষকৃত্য করতে নিশি তার বাবার বাড়িতে যান৷ এতে ওই বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা নিশিকে আটকে রাখেন। পরে তাকে অপহরণ করে পটুয়াখালী তন্ময়দের বাড়িতে সাতদিন আটকে রাখা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মুশফিক পটুয়াখালী তন্ময়ের এলাকায় যান৷ সেখানে মুশফিক জানতে পারে তার স্ত্রীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক তন্ময়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুশফিক মাহমুদ বলেন,নিশি আমার বিবাহিত স্ত্রী। চেয়ারম্যান জসিম কারসাজি করে আমার স্ত্রীকে অভিযুক্তদের দিয়ে অপহরণ করিয়েছে। নিশিকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই। তারা আমার স্ত্রীকে অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম আমারজমিনকে বলেন,মুশফিক নিশিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল,কিন্তু পারেনি।নিশিকে আমরা পটুয়াখালী নিয়ে বিয়ে দিয়েছি।
মুশফিক নিশিকে বিয়ে করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মুশফিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আমারজমিনকে জানান মুশফিক বিষয়টি আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। তবে আদালতের আদেশ কপি আমার হাতে এসে পৌছায়নি। কপি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।