বিশেষ করে গুনাগরী ,বৈলছড়ী কেবি বাজার শীলকূপ টাইমবাজার, চাম্বল বাজার ও নাপোড়া বাজারসহ পুরো প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় বাজার বারে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক পথেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। যথা সময়ে সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবিরা পৌঁছাতে পারছেনা তাদের কর্মস্থলে। এমনকি এ কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকছে জট।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁনপুর বাজার , গুনাগরি,রামদাশ মুন্সিরহাট, বৈলছড়ি কেবি বাজার, জলদী মিয়ার বাজার ও উপজেলা সদর থেকে শীলকূপ টাইমবাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজার, পুইঁছড়ি প্রেমবাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজার ও অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটের দখলে। বিশেষ করে এ সব বাজারে নিত্য যানযটের শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পথচারিরা।
প্রধান সড়ক কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা কাঁচাবাজার গুলো ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে বসেছে শতাধিক শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও মাছের দোকান। ফুটপাত এত সরব হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে অনেক দোকান বসছেন স্থায়ীভাবেই। আর যারা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তারা মালামাল নিয়ে বসে পড়েছেন রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার ওপরেও রাখা আছে ফলের ঝুড়ি,সবজির বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ বরাবর।
বাঁশখালী প্রধান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী এস.আলম বাস সার্ভিস,সানলাইন,সুপার সার্ভিস ও স্পেশাল সার্ভিস,চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা কার্গো সার্ভিস সহ বড় বড় ট্রাক গুলো একটা আরেকটাকে ক্রস করে যেতেও হিমশিম খাচ্ছে। ফুটপাত দখল করার কারণে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে বাঁশখালী-চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প সড়ক বাঁশখালী প্রধান সড়কটি।
তাছাড়া বে-আইনিভাবে প্রধান সড়কে থমকে দাঁড়িয়ে আছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। প্রশাসনের নজরে দৃষ্টিগোচর করার পরেও সরছে না খুঁটি গুলো। এতে নিত্য দূর্ঘটার শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। সড়ক দখল করেই সিএনজি-অটোরিকশার পার্কিং যেন দেখার কেউ নাই।
বাঁশখালী হাসপাতালের এ্যামুলেন্স চালক মোঃ আলমগীর বলেন, বাঁশখালী প্রধান সড়কে র্বতমানে যে হারে যানজট লেগে থাকে তাতে সাধারন রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
একেক যানজটে ২-৩ ঘন্টা লেগে যায়। অনেক সময় ডেলিভারী সহ অতি মুমূর্ষ রোগী নিয়ে কঠিন পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে তীব্র যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়ে রোগীরা। যেই হারে বড় বড় গাড়ি বেড়েছে,সেই তুলনায় আমাদের বাঁশখালী সড়কটি অতি ছোট,২ টি এস আলম সার্ভিস একসাথে ক্রস করতে পারে না। যার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে,রাস্তাটি আরো বড় করা উচিত।
চাম্বল এলাকার এক বেসরকারী চাকুরীজিবী মাওলানা আতাউল্লাহ্ ইসলামাবাদী বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার বসার কারণে সড়ক জুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের মতো সাধারন জনগন ও চট্টগ্রাাম শহরগামী সাধারণ মানুষ সহ চাকরিজীবীদের।’ এস.আলম,সানলাইন,স্পেশাল,সুপার সার্ভিস ও সিএনজি অটোরিকশার বেশ কয়েকজন চালক বলেন,রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার এইটা কোন দেশের আইন আমাদের বুঝে আসেনা।
কেউ কিছু বলেও না। রাস্তা হয়েছে গাড়ি চলানোর জন্য কিন্তু তারা কাঁচাবাজার ও দোকানপাট বসিয়ে অবৈধভাবে ফুটপাত গিলে খেয়েছে। এরকম যানজটের কারণে আমরা বাঁচি না।
চট্টগ্রাম জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজিবী এডভোকেট শাকের উল্লাহ্ বলেন, এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই বাজার বসে গেছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালীতে পৌঁছতে দেড়-দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে অনেক সময় তিন-সাড়ে তিন ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। দীর্ঘ জ্যামে আটকা পড়ে যায় যানবাহনগুলো। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সওজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকলে এরকম জনদূভোগের কিছুটা লাগব হতো।
ক্যাপশনঃ বাঁশখালী প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল করে বসেছে শিলকুপ টাইমবাজার।