জানা গেছে, উপজেলার রায়বালা গ্রামের ফললুল করিম আলনের ছেলে ইনজামাল আকন ওই গ্রামের চলাচলের রাস্তার মাটি ইটভাটার মালিক নুর জামালের কাছে বিক্রি করে। ওই রাস্তার মাটি রবিবার সকালে নুর জামাল বেকু দিয়ে কেটে নেয়। রাস্তা অন্তত ৫ মিটার প্রস্থ ও ১০০ মিটার দৈর্ঘের মাটি কেটে নিয়ে যায়। রাস্তা কেটে মাটি বিক্রিতে স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও ইনজামাল আকন নিজের জমি দাবী করে ইটভাটায় লোকজনকে মাটি কেটে নেয়ার নির্দেশ দেয়।
নিরুপায় হয়ে স্থানীয়রা আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাজমুল ইসলামকে অবহিত করেন। তিনি ভুমি অফিসের তহসিলদার মোঃ জাফর মিয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে রাস্তার মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অন্তত ৫ মিটার প্রস্থ ও ১০০ মিটার দৈর্ঘের রাস্তার মাটি ভেকু দিয়ে কেটে নিয়েছে ইটভাটার লোকজন। রাস্তা কেটে ফেলায় মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা কেটে ফেলায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ইনজামাল আকনের শাস্তির দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
রায়বালা জলিল মৃধা বলেন, ইনজামাল তার রেকডীয় জমির মাটির সাথে রাস্তার মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দিয়েছেন। ইটভাটার লোকজন এসে রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে গেছে।স্থানীয় মুকুল মৃধা বলেন, রাস্তা কেটে মাটি বিক্রি করে দেয়া নেহায়েত অন্যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ইনজামাল আকন রাস্তা মাটি কাটতে ফিতা দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে ইটভাটার লোকজন রাস্তার অন্তত ৫ মিটার প্রস্থ ও ১০০ মিটার দৈর্ঘের মাটি কেটে নিয়ে গেছে।
প্রভাবশালী ইনজামাল আকন মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, আমার রেকর্ডীয় জমির সাথে কিছু রাস্তার মাটি কাটা হয়েছে। এ রাস্তা মাটি দিয়ে বেঁধে দেব।ইটভাটার মালিক নুরজামালের ভগ্নিপতি মোঃ সবুজ মিয়া বলেন,জমির মালিক যেভাবে জমি মেপে মাটি কাটতে বলেছে আমরা সেই ভাবে মাটি কেটে এনেছি।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তহসিলদার পাঠিয়ে রাস্তার মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।