সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের জন্য নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর শনিবার রাতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রধান এজেন্ট ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ পেয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সতর্ক করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা।
ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোক্তেল হোসেন অভিযোগ করেন, রাতের অন্ধকারে বাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ও তার প্রধান এজেন্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের টাকা দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে প্রশাসনকে খবর দিলে তখন তারা সেখান থেকে সরে যান।
এ বিষয়ে নৌকার প্রধান এজেন্ট সেলিম রেজা বলেন আমি নির্বাচনের আগের দিন বিকেল থেকে সন্ধা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছি কিন্তু টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের প্রস্তাবের বিষয়টি ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অপকৌশল মাত্র। প্রিজাইডিংয়ের সাথে এ ধরনের কোন আলোচনাই হয়নি আমার।
বাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান তারা আমার ভোট কেন্দ্রে এসেছিলো।সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে চলে গেছেন। তারা অনৈতিক কাজের কোন প্রস্তাব আমাকে দেয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও রির্টানিং কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান,ভোটের আগে রাতে প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে নৌকার প্রধান এজেন্ট ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা সাক্ষাৎ করেন এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়ায় তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
ভোটের আগের রাতে তিনি এটা করতে পারেন না।প্রসঙ্গত,রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের সঙ্গে কামারখন্দের রায়দৌলতপুরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ছাড়াও আরোও ৫ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সূত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম।