খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে অত্র মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স ৭ দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার সংক্রান্তে মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মোঃ আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালাম(৪৯)কে মাটিরাঙ্গা বাজারের হাসাপাতাল মোড়ের ভাই ভাই হোটেল হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদে আসামী আবুল কালাম অত্র মামলার ভিকটিম জরিনা বেগমকে ধর্ষণ করতঃ হত্যা করেছে মর্মে স্বীকার করে।
ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালাম(৪৯) মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আদর্শগ্রাম রমিজ কেরানীপাড়া এলাকার মৃত আবদুল ছাদেক’র ছেলে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, আবুল কালাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক সেঁজুতি জান্নাত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আবুল কালাম বলেছে, আবুল কালাম ওরফে রদ্দা কালাম মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ের ভাই ভাই হোটেলে পরটা বানানোর কাজ করত এবং জরিনা বেগম ভাই ভাই হোটেলে ঝি এর কাজ করত। সেই সুবাদে দেড় বছর পূর্ব হইতে জরিনা বেগমের সাথে পরিচয়ের সুবাদে মোবাইল ফোনে কথা বার্তা হতো।
এরই ধারাবাহিকতায় গত (১৫ ডিসেম্বর) জরিনা বেগম ও আবুল কালাম এর ফোন আলাপের এক পর্যায়ে আবুল কালামকে জরিনা বেগমের বাসায় আসতে বলে। ঐ দিনই আবুল কালাম রাত ৮ঘটিকার সময় জরিনার বসত ঘরে যায় সে। ভিকটিমকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ আরও জানান, পুলিশ ২২ ডিসেম্বর ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। একই দিন ভুক্তভোগীর বড় ছেলে বান্দরবান থেকে মাটিরাঙ্গায় এসে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।