নিজস্ব প্রতিবেদকঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গুলনাহার পারভীন মিনু নামে গৃহবধূকে চুল ও ভ্রু কেটে নির্যাতন মামলায় স্বামীসহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র্যাব-১২’র সদস্যরা।
মামলা ও র্যাব সূত্রে জানা যায়,২০০৬ সালে তাড়াশ গ্রামের গুলনাহার পারভিন ও শাহাজাদপুরে খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের শাহজাদপুর মেহেদী হাসান সুজনের বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। গত একবছর ধরে স্ত্রীর অন্য কোথাও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে তার উপর নির্যাতন শুরু করে সুজন।
সবশেষ ৩ ডিসেম্বর সাভার থেকে মিনু সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরে নিয়ে আসেন সুজন। ১৩ ডিসেম্বর রাতে দুজনের মাঝে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মিনুকে স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা মিলে শারিরীক নির্যাতন করে মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেয়।
নির্যাতনের ফলে মিনুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মিনুর পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বর গুলনার পারভীন মিনুকে সিরাজগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে মিনুকে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর মিনুর মামা বকুল শেখ বাদি হয়ে তিনজকে আসামী করে শাহাজাদপুর থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।একই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার করতে র্যাবের সহায়তা চায়। এরই প্রেক্ষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার সাভার ও শাহজাদপুর থেকে অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান সুজন,মোঃ সুজন ও মোছাঃ ময়নাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২।