ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ সিলেটের ওসমানীনগরে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন এক পিতা! সন্তানদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকীসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। সোমবার বিকেলে ওসমানীনগর উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হাজী মোহাম্মদ হানিফের ছেলে হাজী মোহাম্মদ আব্দুল একিম ওরফে আব্দুল হেকিম তার ১ম ও ২য় স্ত্রীদের সন্তান ও ভাই ছামির উদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার সকল সন্তানদের ভরণ পোষনসহ যাবতীয় লেখাপড়া করিয়ে প্রবাসে যাওয়ার ব্যবস্তা করেন তিনি। কিন্তুু তার ১ম ও ২য় স্ত্রীর তরফের সন্তানরা দীর্ঘদিন ধরে তার ভরণ পোষনসহ দায় দায়িত্ব নেয়নি। তার ভরণ পোষনসহ যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তার ৩য় স্ত্রীর সন্তানরা। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তিনি তার ৩য় স্ত্রীর সন্তানদের নামে ৪ একর ভূমি হেবা দলিল করে দেন। এরপর থেকে তার ১ম ও ২য় স্ত্রীর সন্তান ও ভাই ছমির উদ্দিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এর জের ধরে তার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল গণির প্ররোচরায় আরেক ছেলে আব্দুল ওয়াহাব ও তার ভাই প্রবাসী ছামির উদ্দিন দেশে এসে গত ১ নভেম্বর তার বসত বাড়িতে গিয়ে হুমকী দেয় এবং সকল সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দিতে বলে।
অন্যতায় তাকে খুন করে লাশ গুম করবে বলে হুমকী প্রদান করে। এতে হাজী মোহাম্মদ আব্দুল একিম নিরাপত্তা চেয়ে ২য় স্ত্রীর তরফের সন্তান আাব্দুল গনি, আব্দুল ওহাব ও ভাই ছামির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গত ৮ নভেম্বর সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গত ১৬ নভেম্বর বিকেলে উল্লেখিত আসামীরা কতিপয় সন্ত্রাসী নিয়ে আবারও তার বাড়িতে গিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়।
এ সময় তিনি রাজী না হলে তাকে বুড়ো বয়সে মামলা দিয়ে জেলে পচিয়ে মারারও হুকমী দেয়। এমনকি ঘরে তালা দিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ২১ নভেম্বর সিলেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে পূর্বের মামলার আসামীসহ ১ম স্ত্রীর তরফের আব্দুল কালামকে আসামী করে আবারও মামলা দায়ের করেন। এদিকে তার ভাই ছামির উদ্দিন বাদী হয়ে তার উপর পাল্টা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল একিম প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে তার নিরাপত্তার দাবী জানান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, পরভেজ মিয়া, নুরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন ও আজাদ হোসেন।