এম এইচ শান্ত,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে ১’শটি লবণপানি প্রজাতির কুমির।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের সামনের নদীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব কুমির অবমুক্ত করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার তালুকদার।
এসময় প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও আবু নাসের মহসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের ডিএফও নির্মল কুমার পাল, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্তা হাওলাদার আজাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।
কুমির অবমুক্ত অনুষ্ঠানে সুন্দরবন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী জানান,সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যা বাড়াতে বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষকয় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদার আজ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৮টি কুমির অবমুক্ত করেন। একই দিনে সুন্দরবনে চাঁদপাই, শরণখোলা, খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের নদ-নদী ও খালে ১’শটি কুমির অবমুক্ত করা হয়।
সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে লবণপানি প্রজাতির দেড়শত থেকে দুইশত কুমির রয়েছে। যা সুন্দরবনের ৪৫০টি নদ-নদী ও খালসহ ১৮৭৪.১ বর্গ কিলোমিটার জলভাগের জন্য পর্যাপ্ত নয়। সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ম্যানগ্রোভ বন থেকে দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গন্ডার, এক প্রজাতির বন্য মহিষ ও মিঠাপানি প্রজাতির কুমির বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জলবাযু পরিবর্তনসহ নানা কারনে সুন্দরবনে বন্যপ্রানী হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানা গেছে।