সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ভেলাজান বাজারে একটি দোকানের সামনে থেকে রামদাগুলো উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী সালম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে চা খেতে এসেছিলাম। হঠাৎ কিছু মানুষের শোরগোল দেখে এগিয়ে যাই। একটি বন্ধ দোকানের পাশে কাপড়ে মোড়ানো কিছু রামদা পড়ে ছিল। একজন গুনে দেখেন ৪০টি রামদা। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।’
ভেলাজান বাজারের দোকানদার সোহেল রানার ধারণা, নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবহারের জন্য কেউ হয়তো এগুলো তৈরি করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যে বাজারে রামদাগুলো পাওয়া গেছে তার সীমানা চিলারং হলেও এটা রায়পুর ইউনিয়নেরও প্রবেশমুখ। তাই কোন ইউনিয়নে ব্যবহারের জন্য এগুলো আনা হয়েছে তা বলা মুশকিল।’
জানতে চাইলে চিলারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, এই অস্ত্রের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে রামদাগুলো এনেছিল, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
নৌকার প্রার্থী ও রায়পুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ শুরু থেকেই নির্বাচনের পরিবেশ অস্থির করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। অস্ত্রগুলো সেই আনতে পারে।’
চিলারং ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে সামনে নির্বাচন। এমন সময় এরকম দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশ আতংকে রয়েছে। এ ঘটনায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কমে যাবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছি। অস্ত্রগুলো কার সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা অস্ত্রের মালিককে খুঁজছি।