শায়খুল হিন্দ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী,শায়খুল ইসলাম,মাওঃ হুসাইন আহমদ মাদানী,মাওঃ উবাইদুল্লাহ সিন্ধী, মাওঃ আনোয়ার শাহ্ কাশ্মীরী,মাওঃ শাব্বীর আহমদ উসমানী, মাওঃ জাফর আহমদ উসমানী এরা সকলেই দারুল উলুম দেওবন্দের সূর্যসৈনিক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রসেনানী।
অথচ আজ দেওবন্দী উলামায়ে কেরামকে, হক্ব ও হক্কানিয়াতের পতাকাবাহী উলামায়ে কেরামকে স্বাধীনতা বিরুোধী বলা হচ্ছে। এটা ইসলামের শত্রুদের খুশি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে একথা সত্য যে,সব যামানায় ইসলামের নামধারী, লেবাছধারী কিছু কিছু লোকের দ্বারা ইসলামের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।
ধর্মের অনেক বদনামও হয়েছে তাদের দ্বারা। তারা এখনও শেষ হয়নি। সর্বদা এ ধরনের কিছু লোক ছিল,ভবিষ্যতেও থাকবে। সুতরাং ঢালাওভাবে উলামায়ে কেরাম স্বাধীনতা বিরুোধী এ কথা ঐতিহাসিকভাবে সত্য নয়,সত্যের অপলাপ মাত্র।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল তারা বাঙালী জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান।তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল, আর যারা সকল কষ্ট স্বীকার করে মুক্তি সংগ্রামে সহায়তা করেছিল, তাদের সকলের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার।
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ও সামাজিক উন্নতি লাভ করার। পাকিস্তানী বর্বর শাষকদের শোষণ থেকে নিস্কৃতি লাভ করে জাতিগত বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার।
তাঁরা স্বপ্ন দেখেছিল স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে। শ্রমিক তার শ্রমের সঠিক দাম পাবে। সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে,শিক্ষার
অধিকার পাবে,বেকারত্ব দূর হবে,ন্যায়বিচার পাবে,আইনের
শাসন চালু হবে আর সৎ,ন্যায়-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিরা শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে।
সর্বোপরি দেশ পরিচালিত হবে জ্ঞানী-গুণি বুদ্ধিমান সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদদের দ্বারা।আর এগুলোই হলো স্বাধীনতা অর্জনের জাগতিক উদ্দেশ্য।