ডেস্ক নিউজঃ মীম আক্তার,সাধারণ নারী কোটায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়েও নিজস্ব পৈত্রিক জমি অর্থাৎ স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় এবার পুলিশে চাকুরি পাচ্ছেন না খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার মীম আক্তার। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে প্রথমে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় চাকুরিটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মীমের বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কথাবর্তা চলছে এবং আশ্বস্ত করেছেন এমনটাই জানালেন মীমের বাবা রবিউল ইসলাম (০১৭৩৬৭৭৫৮২৬).
এমন খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছে মীমের ভূমিহীন পরিবার। খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডে ডাক্তার বাবর আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। বাবা মো. রবিউল ইসলাম খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ছোট্ট একটি ভাড়াটে দোকান নিয়ে লেপতোশকের ব্যবসা করেন। দোকানটির নাম ‘বেডিং হাউজ’।
মীম পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় আবেদনের পর ২৫ অক্টোবর খুলনা শিরোমনি পুলিশ লাইন্সে শারীরিক যোগ্যতা যাচাই হয়, আর ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর তিনদিন যাবত যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ৮ তারিখ খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষাতেও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হলে সামগ্রিক ফলাফলে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে মীম।
এরপর মেডিকেল, ফিঙ্গার সহ সব ধাপ শেষে ভ্যারিফিকেশনের জন্য সোনাডাঙ্গা থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও সিটিএসবি থেকে বাড়িতে তদন্তে গেলে তাদের কাছে ভূমিহীন সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট জমা দেয়া হয়।
কিন্তু পুলিশ রুলস হচ্ছে, নিয়োগ পেতে হলে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। জন্ম এখানে হলে বা জন্ম সনদ ছাড়াও তার স্থায়ী ঠিকানা লাগবে অর্থাৎ পৈত্রিক জমি থাকতে হবে।
বরিশালের হিজলার উপজেলার আসপিয়ার মতো একই সমস্যা মীমের। আসপিয়ার ন্যায় মীমের জন্যও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা প্রত্যাশা করছি। মেধাবী মীমের চাকরির নিশ্চয়তার সাথে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে সরকারী জমি ও ঘর উপহার দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
আর অনতিবিলম্ব,বাংলাদেশ পুলিশের সকল ধরনের নিয়োগের স্থায়ী ঠিকানা বা জমি থাকার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন বা সংশোধন অত্যন্ত জরুরী।