আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
রমজান মাসে কলার চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়ে যায়। কিন্তু কারণ ছাড়াই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে হঠাৎ কলার দাম বেড়ে গেছে। পাইকারি বাজার থেকে হাতবদলে খুচরা বাজারে দাম হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। ভোক্তারা জানান, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে কলা এখন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার নেকমরদে পাইকারি বাজার কলাহাটিতে প্রতি কাঁদি বড় আকারের মালভোগ ৮০০-৯০০ টাকা, মাঝারি আকারের ৬০০-৭০০ টাকা, চিনি চম্পা ৫০০-৬০০ টাকা ও সাগর ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাণীশংকৈলে পৌরশহরের ইউসুফ ফল ভান্ডারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। অন্যদিকে খরচও ব্যাপক। যার জন্য দামও বেশি।
আরেক বিক্রেতা নওশাদ হোসেন জানান, কলাবাগানের মালিকদের কাছ থেকে চড়া দামে কলা কিনতে হয়। খাজনা ও পরিবহন খরচও বাড়তি। যার কারণে চড়া দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হন।
খুচরা বাজারে কলা কিনতে এসেছেন নার্গিস পারভীন নামে এক শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগেই প্রতি হালি মালভোগ কলা কিনেছি ১৫-২০ টাকা। এখন সেই কলাই ৩০-৩৫ টাকায় কিনতে বাধ্য হলাম। হাটবাজারে প্রশাসনের মনিটরিং না করায় সুযোগ নেন অসাধু কলা ব্যবসায়ীরা।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ শাদী আহমেদ বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই কলার বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যাঁরা কারসাজি করে কলার দাম বেশি নেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।