অপু মিয়া,আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে এক আনসার কমান্ডার বলাৎকার করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাই খেয়েছেন আর সেই গণধোলাইর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।
উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের আলীর বন্দর গ্রামের মৃত মোতাহার মিয়ার ছেলে মো. কুদ্দুস, এলাকায় তিনি কুদ্দুস কমান্ডার ও জ্বীন কুদ্দুস নামে পরিচিত। ছাত্র ও যুবকদের বলাৎকারের ভয়ানক নেশা তার। এই বিকৃত নেশায় এমনই আচ্ছন্ন ছিল প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কৌশলে তিনি শিশু থেকে যুবকদের বলাৎকার করতেন।
স্থানীয়রা বলেন, বিদেশগামী এক যুবককে হরমোন টেস্টের কথা বলে বলাৎকার করতে গিয়ে জনতার গণধোলাইয়ের শিকার হন কুদ্দুস। কিছুদিন আগেও এক সুইপার যুবককে বলৎকার করে আহত করেন ও জ্বিন ছাড়ানোর কথা বলে অনেক নারীর সর্বনাশ করেছেন।
বিদেশগামী এক যুবকের হরমোন টেস্টের কথা বলে বলাৎকার করতে গিয়ে জনতার গণধোলাই খায় কুদ্দুস। আর ঐ গণধোলাইর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ভিডিওতে দেখা গেছে কয়েকজন যুবক তাকে ধরে গণধোলাই দিচ্ছে আর কুদ্দুস তাদের পায়ে ধরছেন এমন কাজ আর করবে না।
অভিযুক্ত মো. কুদ্দুস কমান্ডার বলেন, এলাকার মাদকসেবি ও মাদকবিক্রেতাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার কারণে তারা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আর ছোট সময় আমার উপর জ্বিনের আসর ছিল তাই অনেক জ্বিন কুদ্দুস বলে। বলাৎকারের ভিডিওর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আমাকে মারধর করে ঐ ভিডিও করেছে।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো.আবদার মোল্লা বলেন, আমাদের কাছে কুদ্দুস মিয়ার নামে অনেক অভিযোগ আসছে, আর আমিও ভিডিও পেয়েছি এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয় তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাখাওয়াৎ হোসেন তপু বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post Views: 186