গোলাম মোর্শেদ,সলঙ্গা(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বিয়ের প্রলোভনে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও টাকা চাইতে গেলে শরীরীক নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী মায়া খাতুন (৪০) নামের স্বামী পরিত্যক্ত ও দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ওরনা দিয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।নিহত মায়া খাতুন (৪০) নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ নলছিয়া আদর্শ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন,স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর মায়া দীর্ঘদিন বিদেশে গিয়ে কাজ করেছে ২ বছর আগে দেশে এসে সরকারী রাস্তার মাটি কাটার কাজ করে। শুনেছি টাকা পয়সা নাকি নলছিয়া পুর্বপাড়া মৃত কোরবান আলীর ছেলে মালেক ডিলারের কাছে গচ্ছিত রেখেছিল,সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল মালেক ও তার শশুর বাড়ির লোকজন মায়াকে মারপিট করে।এ অপমান সইতে নাপেরে অভিমানে ও টাকার শোক সইতে না পেরে মায়া খাতুন আত্মহত্যা করে।
নিহত মায়ার মা জয়নব ও তার খালা খোদেজা আক্তার বলেন, মালেক মায়াকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিয়ের প্রলোভন ও ব্যাবসার কথা বলে তার গুচ্ছিত টাকা পয়সা নিয়ে নেয়। চার দিন আগে মায়া টাকা চাইতে গেলে মালেক মায়াকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
আবার মায়া খাতুন সকালে মালেকের বাড়িতে টাকা চাইতে গিয়ে ফিরে এসে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে। আমরা মালেকের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ২ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন,আমি মুঠোফোনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মায়াকে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই ।
এবিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর কাদের জিলানী বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।