আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পাহাড়ে মাটি চাপা থেকে একটি মৃত বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বাঁশখালী উপজেলা বনবিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ টিম। বুধবার বিকালে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের লটমনী পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে স্থানীয় পাহাড়ি শ্রমিকরা ক্ষেতে কাজ করতে যাওয়ার সময় চলাচলের রাস্তার পাশের্ব একটি বড় ভরাট কবর দেখতে পায়। শ্রমিকরা কবরের পাশে গেলে হাতির পা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা উপজেলা বনবিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে খবর দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়ার নেতৃত্বে চাপারিপার্ক,রামু ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ৪ জন ডাক্তারের যৌথ একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিটি উদ্ধার করে। এসময় তারা বন্য হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন।
এ ব্যাপারে জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন,স্থানীয়দের দেওয়া খবরেরভিত্তিতে আমাদের যৌথ একটি টিম উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের লটমনী পাহাড় এলাকা থেকে বন্য হাতিটি উদ্ধার করে। কে বা কারা হাতিটি মাটি চাপা দিয়েছে,তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
ইতোমধ্যে হাতিটির ময়নাতদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, বন বিভাগের দেওয়া তথ্যেরভিত্তিতে আমরা ৪ সদস্যের একটি টিম ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। সম্ভবত হাতিটি ৩ থেকে ৪ দিন আগে দুর্বৃত্তরা মাটি চাপা দিয়েছে। মৃত হাতিটি পুরুষ হাতি ছিল। হাতির মরদেহে পচন ধরেছে এবং গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার লটমনী পাহাড়ে বন্য হাতির মরদেহ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে সেই খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন সেখানে যায়। মাটি খুঁড়ে হাতির মৃতদেহটি তোলা হয়। হাতিটির শরীরের আঘাতে চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর বিষয়টি গোপন করার জন্য মাটিতে পুতে ফেলা হচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আলামত রেখে মৃতদেহটি মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কাজ করছে। বর্তমানে উপজেলা সাধনপুর বিট কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এই ঘটনায় বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই আমরা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেব।