সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে পরিকল্পিত ভাবে জমির কাটা ধান তুলতে দেরি হওয়ায় পরিকল্পিত ভাবে সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আলু করতে আশা মৌসুমি চাষিদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ছাঔড় মোজার ড্যাবরা ধানী মাঠে ঘঠে ঘটনাটি।এঘটনায় ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।ফলে প্রজেক্ট কারীদের দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তিসহ ক্ষতি পুরুনের দাবি উঠেছে।
জানা গেজে,উপজেলার কামারগাঁ ইউপি এলাকার ছাঔড় মৌজার অন্তর্ভুক্ত ড্যাবরা ধানী মাঠে আলুর প্রজেক্ট করতে আসেন জেলার মোহনপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের নবাব ও জিয়াউর রহমান রতন।তারা ওই মাঠে আলু চাষের জন্য জমি লীজ নিয়ে চাষ শুরু করেছেন। আবার অনেকের জমির ধান কাটা অবস্থায় ছিল।আজ সকাল প্রায় ১২টার দিকে পরিকল্পিত ভাবে ধান কেটে রাখা জমির পার্শ্ববর্তী ধান উত্তোলন করা জমির ন্যাড়া পুড়ানোর জন্য আগুন লাগিয়ে দেয় প্রজেক্টের লোকজন।মুহূর্তেই বাতাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কেটে রাখা ধান খড় পুড়ে ছায় হয়ে যায়।
একাধিক কৃষকরা জানান, মুলত আলু চাষ করার জন্য জমি লীজ দেন গভীর নলকূপের অপারেটর। তারা আলুর জমি চাষ করতে ব্যকুল হয়ে পড়েন।এজন্যই বাতাস থাকার পরও তারা আগুন দেয় কিভাবে।শুধু তাই না যে সাইডে শ্রমিক আগুন দিয়েছিল সেই আগুন দেওয়া ভালো হয়নি বলে প্রজেক্টের মালিক নবাব ও রতন নিজেই আগুন দেয়।গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়।পরে নবাবের সম্পর্কে জামাই ছাঔড় গ্রামের ডাবলু ও মেম্বার এসে রফাদফায় বসেন।
ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কৃষক ছাঔড় গ্রামের কাবুল জানান,আমার ২২ কাঠা জমিতে ধান কাটা ছিল।আগুনে ধান খড় সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মিমাংসায় বসে বিঘাপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে দিবেন।আমি জমি টেন্ডার নিয়ে আবাদ করেছিলাম।ধান খড় কিছুই পেলামনা বলে হাওমাও করে কাদা শুরু করেন।এছাড়াও টোটনের ১৫ কাঠা, আজিজের ৮ কাঠা,ডাবলুর ১৬ কাঠা ও আক্কাশের ৬ কাঠাসহ সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে ছায় হয়েছে।
তবে প্রজেক্ট কারী নবাব ও রতন জানান কোন ধরনের মিমাংসা হয়নি।জামাই ডাবলু সব দায়িত্ব নিয়েছে। কারন পার্শ্ববর্তী বারোঘরিয়াতে দু বিঘা জমির ধান পুড়েছে।সেখানে যে ভাবে মিমাংসা হবে একইভাবে করে দিবেন জামাই।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান এমন ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি,করলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।