সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। একইসঙ্গে তারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগেও আপত্তি জানানোসহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন প্রশাসনের কাছে।
পাশাপাাশি প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল পাঁচটায় লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এই সহযোগিতা চান।
মতবিনিময় সভায় কেরোয়া ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রাথী বাবুল পাটোয়ারী (আনারস) তার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী শাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর ও নির্বাচনি কর্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।’
চরপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (আনারস) প্রার্থী খোরশেদ আলম বলেন, ‘ইউনিয়নের প্রত্যেকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলে সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত নির্বাচন হবে। এই পর্যন্ত ৯টি অভিযোগ করেছি। কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।। বহিরাগতরা এসে আশ্রয় নিচ্ছেন।’
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার ইউনিয়নে মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে।’ উত্তর চর আবাবিলের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা আনোয়ার হোসেন মুরাদ বলেন, ‘সদস্য প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজনরা নির্বাচনি এলাকায় আসায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।’
এই দিকে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেও সদস্য প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওই ইউনিয়নের ৩,৪,৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থীরা প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের দাবি জানান। জেলার পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, আবাধ ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দিতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত।
নির্বাচনি আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ কোনো বিশেষ সুবিদা পাবেন না। জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে।
বিন্দুমাত্র নির্বাচনি আচরণবিধির ব্যত্যয় ঘটতে দেবো না। সব প্রার্থীকে সচেতন হতে হবে। নির্বাচনি অচরণবিধি মেনে চলতে হবে। বহিরাগতদের ঠেকাতে মেঘনা নদিতে কোস্টগার্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
’মতবিনিময় সভায় রায়পুর উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা অনজন দাশের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল, রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা।