সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহ)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে নানা মুখরুচোক গুঞ্জন। তানোরের কামারগাঁ ইউপির কামারগাঁ শেখজিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে শিক্ষক পলাশের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের কামারগাঁ ইউপির কচুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ কুমারের বাড়িতে চুলের কারখানা রয়েছে। পলাশের কারখানায় ওই স্বামী পরিত্যক্তা নারী কাজ করতেন। পলাশ ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করায় ওই নারী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে করখানা থেকে বের করে দিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এদিকে ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে এক ইউপি সদস্য, সাবেক সদস্য ও ধান ব্যবসায়ী মোবারক আলীর মাধ্যমে পলাশের পক্ষ থেকে ভিকটিম পরিবারকে নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাপা দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ কুমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছোট ঘটনা ঘটেছিল সেটা আপোষ করা হয়েছে কারো কোনো অভিযোগ নাই। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নিখিল কুমার বলেন, লোকমুখে এসব শুনেছি, তবে আপোষ মিমাংসা হয়ে গেছে।