বর্ষ বিদায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ।মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান ও বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সহ-সভাপতি জিডিসন প্রধান সুচিয়াংয়ের সভাপতিত্বে ও লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান ফিলাহ পঃত্মী সঞ্চালনায় এসময় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কথা সাহিত্যিক সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, চা শ্রমিক নেতা পরিমল ব্যারাইক, কবি সনাতন হামমোম। বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের চেয়ারপার্সন পিডিশন প্রধান সুচিয়াংসহ বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যানবৃন্দ।
উৎসবে খাসিদের নিত্যপণ্য ও খাদ্যসামগ্রীর অর্ধশতাধিক স্টল সাজিয়ে বসেন উদ্যেক্তারা। এসব স্টলে খাসিদের পোষাক, বিভিন্ন জাতের ফলমূল, জুমচাষের উপকরণ ও খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হয়। উৎসবের বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিলো খাসি নৃত্য, তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উপরে উঠা, পানগুছি খেলা, গুলতি দিয়ে ঢিল ছোড়া, তীরধনুক ছোড়া ও মাছধরা।
উৎসব আয়োজক কমিটি জানায়, মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক খাসি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাদের নিজস্ব বর্ণিল ঐতিহ্যকে প্রজম্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতেই তাদের এ আয়োজন।
মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান জিডিশন প্রধান সুচিয়াং ও লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান ফিলাহ পত্মী বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ২৩ নভেম্বর তারিখে খাসি বর্ষ বিদায় ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ পালন করা হয়।
আগামীকাল ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে খাসি বর্ষবরণ (স্নেম থাম্মাই)। কমলগঞ্জের মাগুরছড়ায় ২০১২ সাল থেকে খাসি সোশ্যাল কাউন্সিল এর উদ্যোগে খাসি বর্ষবিদায় অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে এবং গতবছর কোভিড-১৯ কারণে এই বর্ষ বিদায় অনুষ্ঠান করতে পারিনি।এই বছর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার কারণে এই বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে।