সারোয়ার হোসেন, তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হকের দু’ভাই সোহেল রানা ও তার বড় ভাই রবিউল সিন্ডিকেট করে কৃষকের সার গিলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের অনুসারীরা সার পেলেও ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকেও মিলছে না সার বলে একাধিক কৃষকরা নিশ্চিত করেন।
কোন কৃষক এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সার তো পাচ্ছেনা উল্টো রানা রবিউলের লোকজন গাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছেন।শুধু এখানেই শেষ না রানা নিজেই বসে কাকে কত বস্তা সার দেওয়া যাবে নির্ধারণ করে দিচ্ছেন।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার পৌর এলাকার তালন্দ বাজারে সার নিয়ে ঘটছে এমন ঘটনা।
এঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হন,সেই সাথে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়।তানোর পৌর এলাকার তালন্দ স্কুলে যাওয়ার রাস্তার উত্তরে মাটির ঘরে কয়েক যুগ ধরে ব্যবসা করছেন তালন্দ ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার সুমন কুমার শীল।সেখানে দীর্ঘ লাইনে কৃষক কৃষানীরা দাড়িয়ে ছিল সোনার হরিন নামক সার নিতে।অথচ এই ডিলারকে সার বিক্রি করতে হবে ইউপি এলাকায়।
লাইনে দাড়িয়ে থাকা কৃষকদের সাথে কথা বলা শুরু করলে তারা বলেন কৃষি অফিসের লোক এবং মেয়রের ভাই রানা রবিউলের পছন্দের লোকদের দিচ্ছেন সার।আমাদের দেওয়ার সময় এলেই বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করে দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন রানার কথামত।দেওউল কান্না ও তালন্দ এলাকাসহ ইউপির একাধিক কৃষকরা জানান ডিলার সুমন না মনে হচ্ছে রানা, রবিউল ও বিএনপি নেতা বাদল।
তারা বাছাই করে তাদের মতের লোকদের সার দিচ্ছেন এবং ইউপির যে সব কৃষকরা নৌকা ও আনারসের ভোট করেছেন তারা পাচ্ছেনা সার।যারা বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের লোক তারা দ্রুত পাচ্ছেন। আমাদের মত সরল কৃষকদের সার নিয়ে রানা রবিউল কেন রাজনীতির করবে।যদি ইউপির কোন এলাকায় দোকান থাকত তাহলে সার নিয়ে এত রাজনীতি হত না।আমরা যেন সঠিক ভাবে সার পায় এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দোকানে ছিলেন কৃষি অফিসের একজন কর্মকর্তা তিনি কোন কথায় বলবেন না বলে সটকে পড়েন।
ডিলার সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি তালন্দ ইউপির ডিলার পৌর এলাকায় সার বিক্রি করতে পারেন কিনা তিনি জানান আমার জন্ম এখানে অবশ্যই সার বিক্রি করতে পারব বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।কৃষি অফিসের কর্মকর্তার সামনেই রানা বাদল ও রবিউল তালিকা করছিল।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আপনারা আসেন ইউএনও স্যারের সাথে বসা হবে,নইলে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে দায় সারেন।