নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: ৩৬০ জন আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেটের প্রবেশদ্বার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ডিসেম্বরে ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আওয়ামী লীগের নৌকা মাঝি হতে চান তাজুল ইসলাম (তাজু) চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর দৌঁড়ে রয়েছেন আরো অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় নানাভাবে গণসংযোগ, কুশল বিনিময়ও করছেন।
বর্তমানে বেশির ভাগ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে দলীয় টিকেট পেতে তৃণমূল থেকে দলের হাইকমান্ডের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। বলতে গেলে এসব প্রার্থীরা নৌকা মনোনয়নের জন্য এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অনুকম্পা পেতে কয়েকদিন ধরে জেলা ও রাজধানী ঢাকা অবস্থান করছেন ।
মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু। বর্তমান বসবাস করেন আদাঐর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে। তিনি মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলার যুবলীগের সাবেক সভাপতির ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এলাকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪নং আদাঐর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রার্থী সংখ্যা বাড়লেও সব প্রার্থী কিন্তু সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি ভোটের মাঠে। সাংগঠনিক দক্ষতা ও ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন প্রার্থী ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তায় রয়েছেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু। আওয়ামীলীগের নৌকা মনোনয়ন পেলে বেশির ভাগ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
মূলত আঞ্চলিকতার ইস্যুতে সে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থী। এছাড়া তৃণমূলে সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও সমান জনপ্রিয়তা তার। বাকিরাও যে যার মতো ভাল অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের সমর্থকরা।
তাজুল ইসলাম জানান,বিগত আদাঐর ইউনিয়ন দুইটি নির্বাচন আমি অনেক ভোটে বিজয়ী হয়েছি। নির্বাচনী মৌসুম থেকে আমি নির্বাচন করার জন্য ইউনিয়নবাসীর সমর্থন ও দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে ইউনিয়ন এলাকায় কাজ করছি। বিগত সময়গুলোতে যারা দলীয় নৌকা মনোনয়ন নিয়ে মাঠে এসেছেন জননেত্রীর শেখ হাসিনার প্রার্থী মনে করে তাদের সাথে কাজ করেছি।আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবার আমাকে মূল্যায়ন করবেন, বিএনপি জোট সরকার আমলে আমার উপরে হামলা ও মামলা শিকার হয়।