শুক্রবার (১৯শে নভেম্বর) সকালের দিকে ভুক্তভোগী আমির হোসেন অভিযোগ করে জানায়- গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৩ নভেম্বর আমির হোসেন’কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করে ও ১৪ নভেম্বর অতর্কিত হামলার চেষ্টা করেছিল পার্শ্ববর্তী ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী আবু হানিফ।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকালের দিকে প্রায় দুই শতাধিক সেগুন গাছ অর্ধেক থেকে কর্তন করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রথমিক অবস্থায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতির ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে আমির হোসেন ও আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কর্তন করে ফেলেছে দুই শতাধিক অর্ধবয়স্ক সেগুন গাছ।
আমির হোসেন’র সারা জীবনের কষ্টের্জিত বাগানএটি এছাড়া বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ করে সেগুন বাগানটি সাজিয়েছেন এখনো এনজিও টাকা পাবে, শেষ মুহুর্তে প্রতি হিংসার শিকার তার এ নিষ্পাপ বাগান।
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড নবনির্বাচিত মেম্বার আজগর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনার পর পরই ঘটনাস্থলে চেয়ারম্যান সাহেব সহ ছুটে যাই। কেউ না কেউ পরিকল্পিত ভাবে সেগুন গাছগুলো অর্ধেক থেকে কেটে ফেলেছে। ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের সরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেই।
আমতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গণি’র কাছে সেগুন গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে।
অভিযোগটি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবু হানিফ বলেন- কে বা কাহারা বাগানটি কেটেছে তা আমি জানিনা। আমি নির্বাচন করার কারণে এখন একটা পক্ষ আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছে। তবে কেহ না কেহ ষড়যন্ত্র করে বাগানটি কেটেছে তা আসলে ঘৃণার যোগ্য। এই ঘৃণ্য কাজটি যেই করে থাকুক না কেন তাদের বিচার হওয়া দরকার।