মাহির খান,লালমনিরহাটঃ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সীমান্ত হত্যা অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তজুড়ে অনেক দেশ রয়েছে। ভারত, নেপাল, ভুটান এসব সীমান্তে গুলি করা হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তে প্রতিনিয়তই বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপি সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন সীমান্ত হত্যা অনেক কম ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সীমান্ত হত্যা অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরতের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ফলে বিএসএফ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। হত্যা করে তারা লাশগুলো গুম করে দিচ্ছে। নিহতদের লাশ ফেরত চাইলেও প্রশাসন সাড়া দেয় না। শুধু তাই নয়, বিএনপির কর্মীদের গুম করে তাদেরও লাশ ফেরত দেয়নি এই সরকার।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, থানার ওসি এখন মন্ত্রী-এমপি। আমি মাঝে মধ্যেই তাদের ঠাট্টা করে বলি। এমপি সাহেব আমাদের কাছে আসুন। কেননা ভোটের সময় তারাই কারসাজি করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ভোরে বুড়িরহাট-লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৭.৫ এস ভারতের ওপারে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হন। এ ঘটনার সাত দিন পার হলেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
নিহতরা হলেন- গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি মালগাড়া ময়না চওড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী ও ভাষানীর বাড়ি মালগাড়া এলাকার বালাটারী গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান।
Post Views: 189