সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের প্রতারনা, অর্থ আত্মসাৎ সংখ্যালঘু নারী নির্যাতন ও লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের নামভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: হোসাইন আহমদ হেলাল,সাধারন সম্পাদক মো: আবদুল মালেক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: কাউছারকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০২২-২০২৩ইং সনের নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক,দেশটিভি ও ভোরের কাগজের প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিটিভি ও আমাদের সময়ের প্রতিনিধি ও নির্বাচন প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন নিজামী,প্রেসক্লাব্রে সাবেক সহ-সভাপতি এমজে আলম, আহবায়ক প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য সহিদুল ইসলাম,প্রেসক্লাবের সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম ও আব্বাছ হোসেন, সবুজ জমিনের সম্পাদক আফজাল হোসেন সবুজ,মুক্তবাঙ্গালীর সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি কামালুর রহিম সমর, নতুন পথের সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সাগর,সাংবাদিক আহম্মদ আলী, আলমগীর হোসেন,ভাস্কর বসু রায়,মফিজুর রহমনা মাষ্টার, আবদুল মালেক নিরব ও মনির হোসেন প্রমুখ।
এই সময় বক্তারা প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল,সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. কাউছারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূনীতি ও চাঁদাবাজি এবং দালাল বাজারে এক সংখ্যালঘু নারীর সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমান অর্থ আতœসাৎ ও অপর সংখ্যালঘু পুরুষের প্রতারনার মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা অর্থ আতœসাৎসহ নানা অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। এই ছাড়া করোনাকালীন সময় জেলা প্রশাসক,উপজেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ ও পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সদস্যদের নাম প্রনাদনা নিয়ে তা গোপনে আত্বসাৎ করেন তারা।
অপরদিকে ভূমি রেজিষ্ট্রি ও উন্নয়নের কথা বলে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করে প্রেসক্লাবের ফ্যান্ডে জমা না করে নিজেরাই আত্বসাৎ করা হয়। কথায় কথায় সিনির্য় সাংবাদিকদের হেয়প্রতিপন্ন করা,প্রেসক্লাবে ডুকতে বাধা দেয়া, সাধারন সভা না করে ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে রেজুলেশন তৈরি করে ও মনগড়া সিদ্ধান্ত গ্রহন, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘন করে নানা অপকর্মে করে যাচ্ছে।
ফলে ক্ষুদ্ধ সাধারন সদস্যরা উল্লেখিত তিন ব্যাক্তিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা ও স্থায়ী বহিস্কার করার দাবী তোলেন। পরে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হোসাইন আহমদ হেলাল,আবদুল মালেক ও কাউছারকে প্রেসক্লাবে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।
এছাড়া অনিয়ম করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি যথাসময়ে প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন করা, নতুন সদস্য অন্তভূক্তি ও পুরাতন সদস্যপদ নবায়ন করার জন্য কামালুর রহিম সমরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই উপ-কমিটি গঠন করা হয়। সভায় প্রেসক্লাবের সদস্যরা অংশ নেয়।