দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আগামী দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে নৌকার মাঝি হতে চান রাজশাহী জেলা সৈনিক লীগের সহঃ সভাপতি তৃণমূলের আস্থার প্রতীক প্রভাষক মোঃ মজলুম হোসেন।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকাবাসীর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় হচ্ছে বলে জানা গেছে। তৃণমূলের নেতা মজলুমকে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য চলছে শোভাযাত্রা, প্রচারণা, গণসংযোগ, মাইকিং।
ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের সব শ্রেণিপেশার মানুষেরা একতাবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মতবিনিময় সভা। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও তার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। মজলুমের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের জন্য সবসময় ছিলেন নিবেদিত প্রাণ, বহু ত্যাগের মধ্যেই ধরে রেখেছেন তৃণমূলের নেতৃত্ব, সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ গড়ার অন্যতম কারিগর তৃণমূলের নির্যাতিত এই নেতা।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই নেতা। মজলুম ও তার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে,আওয়ামী লীগ করার কারণে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। শারীরিক নির্যাতন, ঘরবাড়িতে হামলা পুকুরের মাছ এমনকি জমির ফসল কেটে নিয়ে যায়। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রায় তিন মাস তারা বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। তাদের উপর একাধিক মামলা দায়ের করে বসতভিটা ও দখল করে নেয়। তবুও মজলুম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে চলেছেন।
তার সম্পর্কে সাবেক ইউপি যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন জানান,
ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য যে কয়জন দৌড়ঝাঁপ করছেন তার মাঝে মজলুম সবথেকে যোগ্যপ্রার্থী। আজকাল শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যক্তিত্বের থেকেও টাকার ভ্যালু বেশি। জানিনা তার ভাগ্যে কি আছে? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে জাতি গঠনের কাজ মহান শিক্ষকতা করছেন। তিনি পারেন একটি সমাজ পরিবর্তন করতে। দলের কাছে আমার দাবি হাইব্রিড দের ব্যাপারে সতর্ক থেকে। দুর্দিনের বন্ধু সৎ মেধাবী তাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক।
মজলুম সম্পর্কে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মফিজুল ইসলাম জানান,তিনি একজন সৎ, মানবিক, আদর্শিক নেতা। সকলের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। যাকে যেভাবে পারা যায় সেভাবে সহযোগিতা করেন। নির্বাচন এলেই কিছু নেতার উদ্ভব হয় ।পরবর্তীতে এদের খোঁজ থাকেনা ।কিন্তু মজলুমদের মত নেতারা সব সময় জনগণের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন। করোনার প্রকোপে যখন অর্থনীতির সমাজব্যবস্থা বিধ্বস্ত হওয়ার পর্যায়ে ইউনিয়নের ভেতর তিনি সকলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমার মনে হয় তার মত আওয়ামী লীগের দুর্দিনের বন্ধুদের মনোনয়ন দেওয়া উচিৎ।
নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মজলুম হোসেন জানান, আমি ও আমার পরিবার মুজিব আদর্শ বুকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থেকেছি। মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবসময় কাজ করে চলেছি। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে আমাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সক্রিয়ভাবে। আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাহাবুব যুদ্ধের সময় এই অঞ্চলে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই পর্যন্ত সুখে দুখে সব সময় আওয়ামীলীগের পাশে থেকেছি। শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ করার কারণে হামলা মামলা বাড়ি ঘর ছাড়া হয়েছি।
এবারের ইউপি নির্বাচনে ত্যাগী-দের মূল্যায়ন করবেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই আশায় রয়েছি। দলীয় প্রতীক পেলে নৌকার বিজয় উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। যদি নাও পাই যে পাবে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন সহযোগিতা থাকবে। তবে দলের কাছে অনুরোধ থাকবে অনুপ্রবেশ কারি হাইব্রিডের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে।