অনলাইন ডেস্কঃ বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি। মেডিক্যাল বোর্ডের দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা এমন পরামর্শই দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৭নভেম্বর) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়ার পর তার বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন ডা. জাহিদ।
এ সময় তিনি আরো বলেন,গত ১০ এপ্রিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ২৭ এপ্রিল কোভিড পরবর্তী জটিলতা নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫৬ দিন পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি আজ রেববার বাসায় ফিরেছেন।
তিনি আরোও বলেন, পরবর্তীতে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ যখন শুরু হয়, তখনও চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আপনারা জানেন তার আত্মীয়স্বজন এ জন্য আবেদন করেছিলেন,কিন্তু সেটিও হয়ে উঠেনি।
এবার ৬ সপ্তাহ যাবত অল্প অল্প জ্বর আসায় চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা ওনাকে পরীক্ষা করে আবারও এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
১২অক্টোবর হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা অনুভব করেন ওনার আরোও বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়। আজকে সন্ধার দিকে তিনি নিজের বাসভবনে এসেছেন। এ অবস্থায় এবারও চিকিৎসকরা ওনার পরবর্তী চিকিৎসা একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে, অর্থাৎ দেশের বাইরে যে কোনো ভালো দেশে।
সি নিডস ভেরিগুড কোয়ালিটি ট্রিটমেন্ট। এ ক্ষেত্রে ওনার পরিবারের সদস্য, দেশবাসী সবাই চায়,তিনি নিজেও আশা করেন,সত্যিকার অর্থে উনার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। সেজন্য আপনাদের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সুচিকিৎসার পরে আবার যেন আপনাদের মাঝে ফেরত আসতে পারেন।
তিনি বলেন, একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং আছেন। উনি যখন জেলখানায় ছিলেন সেখানে গত চার বছর যাবত সুচিকিৎসার কোনো বন্দোবস্ত সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। কাজেই এ অবস্থায় উনার সুচিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ওনাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর প্রায় ৫৬দিন পরে তিনি বাসায় ফিরেছিলেন।
এরপরে করোনার কারণে প্রায় ৬মাস যাবত তার কোনো ফলোআপ করা সম্ভব হয়নি। গত ১২অক্টোবরে তিনি আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে যান চেকআপ করার জন্য। সেখানে তার বিভিন্ন চেকআপ ও চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে এসেছেন। আমরা আল্লাহতায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি এখন ভালো আছেন, তিনি দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাচ্ছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দির দিদার প্রমুখ।
সূত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪. কম