রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

বিভ্রান্তির অবকাশ নেই; প্রতিবেশি দেশের চেয়ে তেলের দাম কম-তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।

রিপোটারের / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১

ডেস্ক নিউজঃ ডিজেল তেলের দাম প্রতিবেশী দেশের চেয়ে কম এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেছে তথ্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানান তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। ৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী আরোও বলেন,দেশে সম্প্রতি ডিজেল তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন মহল থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে একটি বিশেষ কুচক্রী মহল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেল তেলের দাম ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল তেল ও কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পায়নি।

চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয় বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এ বছরের জুন মাসে লিটার প্রতি  ২.৯৭ টাকা, জুলাই মাসে ৩.৭০ টাকা, আগস্ট মাসে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৫.৬২ টাকা এবং অক্টোবর মাসে ১৩.০১ টাকা ভর্তুকি দিয়ে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১১৪৭.৬০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে ১ ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে ৮৫.৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২.৩৯ রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। এ কারণে আবার চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে এবং এদেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। বাস্তবতার নিরিখে কথা বলা, সাধারণ মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় এবং এই অজুহাতে অন্য পণ্যের যেন মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে, অন্যথায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর