উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেবার শেষ দিনে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৬৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত ১৩ জন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ৩৩ জন।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী রয়েছেন রফিকুল ইসলাম হিরো ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন সাগর আলী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রয়েছেন ইমরান হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন আমিরুল ইসলাম।
বাঙ্গালা ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন। নৌকার প্রার্থী সোহেল রানা। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেফায়েতুল্লাহ, আবু হানিফ, দেলোয়ার হোসেন খান, আব্দুল মতিন সওদাগার ও হুমায়ন কবির।
উধুনিয়া ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। নৌকার প্রার্থী হলেন রেজাউল করিম বাচ্চু। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন রাশিদুল হাসান রাশেদ, আব্দুল জলিল প্রামানিক, আনিছুর রহমান সাহেব এবং জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থর রয়েছেন অধ্যক্ষ মনজিলুর রহমান।
বড় পাঙ্গাশী ইউনিয়নের মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির লিটন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন বকুল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন, সুলতান শেখ সেলিম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
মোহনপুর ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন। মোঃ আবুল কালাম আজাদ হলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ইকবাল হোসেন, জাসদের প্রার্থী হলেন মনিরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেন সোহেল রানা ও বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন হাসান সাদেক মেহেদী এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
দূগার্নগর ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭জন। নৌকার প্রার্থী হলেন আফছার আলী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন, বিপ্লব কুমার, মাসুদ রানা হায়দার, তারেকুল ইসলাম, সুব্রত কুমার চাকী (বাপ্পী) ও আলমগীর হোসাইন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী আব্দুর রশিদ।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। এদের মধ্যে রেজাইল ইসলাম তপন রয়েছেন নৌকার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এসএম রাশেদুল হাসান, আল আমিন সরকার ও জিয়াউর রহমান।
সলংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী হলেন মোখলেছুর রহমান তালুকদার। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন মোক্তার হোসেন ও শফি কামাল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হলেন ফরহাদ আলী।
হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন। নৌকার প্রার্থী হলেন হেদায়েতুল আলম। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মাসুদ রানা, আরাফাত রহমান, আবু সাঈদ সরকার, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন মজিদ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহাজ উদ্দিন সরকার।
উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন। নৌকার প্রাথর্ী হলেন আব্দুস সালেক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথর্ীদের মধ্যে রয়েছেন আলিমুজ্জামান অলক, আকমাল হোসেন ও রফিকুল ইসলাম রতন।
পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী হলেন ফিরোজ উদ্দীন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এখানে আরিফুল ইসলাম লিটন ও নজরুল ইসলাম, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিস্টার, আব্দুল মালেক, হায়দার আলী ও মনিজা মোমেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন টি এম শাহাদ হোসেন।
সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া ও সুমাইয়া পারভীন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী সাদ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।
কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। নৌকার প্রার্থী হলেন হেলাল উদ্দীন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা সুখন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রয়েছেন মোঃ মোশরাফ হোসেন তালুকদার।
উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মাসুদ রানা মনোনয়নপত্র জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলা আওমামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানান, আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।