রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় তীর্থের মহা খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়।মহা খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান ক্যাথলিক ড্যাইসিসের দ্বায়িত্বরত বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ। খ্রিষ্টযাগ সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনের প্রধান যাজক ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি, সহকারী যাজক ফাদার কেবিন কুবি সিএসসি, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফাদার প্লাসিড প্রশান্ত রোজারিও,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ভাইসপ্রিন্সিপাল ফাদার মৃণাল ম্রং,কুলাউড়া লক্ষিপুর মিশনের প্রধান যাজক ফাদার ভেলেন্টাই তালাং,সিলেট ক্যাথলিক বিশপ হাউজের সচিব ফাদার সরোজ কস্তা,বড়লেখা ডিমাই মিশনে প্রধান যাজক ফাদার যোসেফ গমেজ,হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ সাব-মিশনের পরিচালক ফাদার বিপ্লব,সুনামগঞ্জ রাজাই মিশনের প্রধান যাজক ফাদার যোসেফ তপ্ন,ঢাকা নটরডেম ইউনিভার্সিটি লেকচারার ফাদার বনিফাস সুব্রত টলেন্টুনিও ও আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ফাদার,ব্রাদার,সিস্টারসহ তিন হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্তগণ। এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত, উদ্দেশ্য প্রার্থনা,পর্বকর্তা,অনুতাপ প্রার্থনা (পাপস্বীকার),আরাধনা সংস্কার,জীবন্ত ক্রুশে পথ ও জপমালা রানী মা-মারীয়া কাছে বিশেষ করে ধরণীর সকল মানব কল্যানে প্রার্থনা করা হয়।
খ্রিস্টযাগে বাইবেল সহভাগীতা সময় বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ বলেন ঈশ্বর কুমারী মারীয়াকে বেছে নিয়েছে তার পুত্রের জননী হওয়া জন্যে, মা মারীয়া হলো উদ্বারকর্তা যিশু খ্রিষ্টের মা।জপমালা প্রার্থনা সময় স্তবে মা মারীয়াকে বলা হয় অমলোদ্ভবা মারীয়া, ঈশ্বর পবিত্রা জননী, পাপীদের আশ্রয়, স্বর্গের রানী, পরিবার রানী,প্রেরিতগনের রানী ও শান্তি রানী রূপে,মা মারীয়াকে প্রেরিতগনের রানী বলা হয় কারণ মহান ঈশ্বর তাকে প্রভু যীশু খ্রিষ্টের মা হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এবং ঈশ্বর আদেশে কুমারী অবস্থায় গর্ভধারণ করে জন্মদান করেন মুক্তিদাতা যীশু খ্রিষ্টকে।মা মারীয়া প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করার জন্যে মাতামণ্ডলী( ক্যাথলিক মণ্ডলী) প্রতি বছর অক্টোবর মাস জপমালা রানী মা মারীয়া মাস হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসে ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তারা সারা মাসব্যাপী জপমালা প্রার্থনা মাধ্যমে পারিবারিক প্রার্থনা, নভেনা প্রার্থনা করে থাকেন।
তীর্থ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি বলেন এই বছর আমরা এই স্হানে ৩২তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থ পালন করছি। বিগত বছর আমরা কোভিড-১৯ কারণে সীমিত আকারে জপমালা মা মারীয়া তীর্থ উদযাপন করেছি।এবছর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়াতে এবং প্রশাসন ও উদ্বার সহযোগীতায় কারণে প্রতি বছর ন্যায় জপমালা মা মারীয়া তীর্থ আয়োজন করেছি।কোভিড-১৯ বর্তমানে স্বাভাবিক হলেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবলম্ব করে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবছর জপমালারাণী মা-মারীয়া তীর্থোৎসব ।যেহেতু এই হরিণছড়া জপমালা রাণী মা-মারীয়া তীর্থ স্থানটি সিলেট ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ড্যাইসিসের একমাত্র তীর্থ স্থান,এখানে সিলেট বিভাগে সকল জেলা-উপজেলায় বসবাসরত ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলী ও দেশের বিভিন্ন বিভাগের খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা তীর্থোৎসব অংশগ্রহণ করে প্রার্থনা করেন ও বিভিন্ন ব্যক্তিগত মানত রেখে পর্বকর্তা খ্রিস্টযাগে উদ্দেশ্য প্রার্থনা করে থাকেন।
জপমালা রাণী মা-মারীয়া তীর্থোৎসব অংশগ্রহণকারী ঢাকা থেকে আগত একজন তীর্থযাত্রী বলেন শ্রীমঙ্গল প্রাকৃতিক ঘেরা সৌন্দর্যময় একটি পর্যটন শহর।এই শহরের অধীনে অবস্থিত হরিণছড়া জপমালা মা মারীয়া তীর্থ স্হান, প্রকৃতি পরিবেশে মনোমুগ্ধকর ধ্যান প্রার্থনায় আমি অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি,ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ।