নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকাবাসীর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় হচ্ছে বলে জানা গেছে। তৃণমূলের নেতা শফিকুল আলমকে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য চলছে শোভাযাত্রা, প্রচারণা, গণসংযোগ।
ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের সব শ্রেণিপেশার মানুষেরা একতাবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মতবিনিময় সভা। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও তার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। শফিকুলের সুদীর্ঘ রাজনীতির জীবনে আওয়ামী লীগের জন্য সবসময় ছিলেন নিবেদিত প্রাণ, বহু ত্যাগের মধ্যেই ধরে রেখেছেন তৃণমূলের নেতৃত্ব, সুশৃংখল আওয়ামী লীগ গড়ার অন্যতম কারিগর তৃণমূলের নির্যাতিত এই নেতাকে।
শুধু আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতি করায় মামলা হামলা সীমাহীন নির্যাতন শিকার হন তিনি। বিএনপি আমল এলেই একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জর্জরিত ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বিএনপি জামাত জোট হামলা করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ধ্বংসস্তূপে পরিনত করে যা ৭১ রে বর্বরতাকে মনে করিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে। তৃণমূলের দাবী-তেই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তিনি বলে জানাযায়।
তার সম্পর্কে নওপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জানায়,বর্তমান সময়ে নেতার অভাব নেই কিন্তু তার মতো ব্যতিক্রম নেতা খুবই কম রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিতে দৌড়ঝাঁপ করা ব্যক্তিদের অনেকের পূর্বের রাজনৈতিক ইতিহাস নেই। কিন্তু আপোষহীন নির্যাতিত সংগ্রামী তৃণমূলের রাজনৈতিক শফিকুল। তার দ্বারাই দলের এলাকার ও ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব দলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে তার মতো ত্যাগী মানুষকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।
ওয়ার্ড নওপাড়ার যুবলীগের সভাপতি ওয়াহাব শফিকুল সম্পর্কে জানায়, তিনি অত্যন্ত সৎ ভালো মনের বিপদের বন্ধু। দলমত নির্বিশেষে তিনি সকলের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। মানবিক গুণাবলী সম্পূর্ণ মানুষকেই জনপ্রতিনিধি তৈরী করা উচিৎ।
হাইব্রিড নেতা হলে দলের ক্ষতি হয় তারা সবসময় নিজের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন। দল ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে না । তাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে আমার বিশ্বাস তিনি অনেক ভালো কাজ করবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম জানান, আমি ও আমার পরিবার মুজিব আদর্শ বুকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থেকেছি। মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করতে সবসময় কাজ করে চলেছি। স্বৈরাচার সরকার পতন থেকে নিরেপক্ষ তত্বাবধান সরকারের দাবীতে অসংখ্য আন্দোলনে বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছিলাম। ফলে বিএনপি জামাতের রোষানলে পড়ে অসংখ্য হামলা, মামলা, জেল খেটেছি সবকিছুই মেনে নিয়েছি দলের কল্যানে। তৃণমূলের দাবী-তেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। নওপাড়া ইউনিয়নকে দুর্নীতি মুক্ত মডেল ইউপি গড়ার লক্ষ্যে রয়েছে। মানবতার মানুষ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবারের ইউপি নির্বাচনের নির্যাতিত কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন সেই আশায় আছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। যদি নাও পাই যে পাবে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন সহযোগিতা থাকবে। তবে দলের কাছে অনুরোধ থাকবে অনুপ্রবেশ কারি হাইব্রিডের ব্যপারে সতর্ক থাকতে।